হাক্কানী পাল্প এন্ড পেপারের লভ্যাংশ ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হাক্কানী পাল্প এন্ড পেপার মিলস লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় ৩০ জুন ২০২২ সালের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটির পরিচালনা বোর্ড।

এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ১.৩০ টাকা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২৩.৫৬ টাকা।

আগামী ১৭ ডিসেম্বর কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৪ নভেম্বর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

টিসিবি ১৫৮ কোটি টাকার তেল-ডাল কিনবে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ৮ হাজার টন মসুর ডাল ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৫৭ হাজার ২০০ টাকা।

এর মধ্যে ৮৯ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার টাকার তেল ও ৬৮ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকার মসুর ডাল কেনা হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত সাংবাদিকদের তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইদ মাহবুব। তিনি বলেন, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৪তম ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিতে একটি প্রস্তাব ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভায় ১৭টি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব সাইদ মাহবুব বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি কর্তৃক স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার। এতে খরচ হবে ৮৯ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতিকেজি সয়াবিনের দাম পড়বে ১৬২ দশমিক ৯৪ টাকা। যা আগে ছিল ১৭১ দশমিক ৮৫ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি কর্তৃক স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ৬৮ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা। প্রতিকেজি ৮৫ দশমিক ৯৯ টাকা। আর প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৮৫৯ ডলার।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর ক্রয কমিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি কর্তৃক ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ঢাকা-মেঘনা ভোজ্যতেল শোধনাগার লিমিটেডের কাছ থেকে ১৮৯ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি লিটার ১৭১ দশমিক ৮৫ টাকা, যা আগে ছিল ১৮৫ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি কর্তৃক স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সুপার ওয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট খরচ ৮৭ কোটি ৯৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা। প্রতি লিটার ১৫৯ দশমিক ৯৫ টাকা, যা আগে ছিল ১৮৫ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি কর্তৃক স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ৭০ কোটি ৯৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। প্রতিকেজির দাম ৮৮ দশমিক ৭৩ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ টাকা।

তার আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় টিসিবির মাধ্যমে দেশীয় তিন কোম্পানি থেকে ১ কোটি ৬৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই তেল কিনতে খরচ ধরা হয় ৩০৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এ তেল কিনতে খরচ ধরা হয় ১০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

এছাড়া সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেডের কাছ থেকে ১০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ১০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
স্টকমার্কেটবিডি.কম////

পলিশের কারণে চালের দাম ৩/৪ টাকা বাড়ে: খাদ্যমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সাধারণ চালকে চকচকে করতে পলিশ করছে মিল মালিকরা। তাতে একদিকে চলে যাচ্ছে চালের পুষ্টিগুণ অন্যদিকে দাম ৩-৪ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে পুষ্টি চালের বাণিজ্যিক যাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চালকলে পাঁচ ধরনের পলিশ দেওয়া হয়। মোম পলিশ, স্যালাইন পলিশ, সিল্কি পলিশ এমন নামের। তাতে একদিকে পুষ্টি চলে যায়। অন্যদিকে চালের ঘাটতি হয়। পাশাপাশি বিদুৎ, দামি দামি পলিশ মেশিনের খরচ, ম্যানপাওয়ার অন্যান্য মিলে কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা বাড়তি খরচ হয়। সেই খরচ ধরেই চকচকে পলিশ চালের দাম নির্ধারণ করে মিল মালিকরা। সেটা গুনতে হচ্ছে ভোক্তাকে।

এ সময় তিনি জনগণকে চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। অষ্টমপঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে আরও যে নীতিগুলো আছে তার সবগুলোতেই পুষ্টি নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খাদ্যাভ্যাসের কারণে মানুষ চকচকে চাল খাচ্ছে। সেজন্য বিদেশ থেকে পুষ্টি এনে দিতে হচ্ছে চালে। বাংলাদেশের জন্য এটি দুখজনক। অর্থিক সংগতি বাড়লে চকচকে চাল খেতে হবে, এ ব্যস্ততা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পুষ্টিচাল যেন সাধারণ মানুষ বাজার থেকে ক্রয় করতে পারে সেজন্য পুষ্টিচাল উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তাদের উদ্যোগ ও বিনিয়োগ ছাড়া পুষ্টিচাল ভোক্তা পর্যায়ে সহজলভ্য করা সম্ভব হবে না।

এ সময় তিনি বেসরকারি চাল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের পুষ্টিচাল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উদ্যোগী হওয়ার এবং দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার আহ্বান জানান।

খাদ্য মন্ত্রণালরর সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আতিউর রহমান আতিক, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন ও জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনট্যাটিভ ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ডম স্কেলপেলি বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

পুষ্টি চালে যুক্ত করা হয়েছে আয়রন, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১, ফলিক এসিড। সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে এই চাল সহজলভ্য করার জন্য আপাতত পাঁচ প্রতিষ্ঠান ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিক্রয় কেন্দ্র ও সুপারশপে সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে তারা ঢাকা মহানগরের মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, কারওয়ান বাজার, আগোরা ও স্বপ্ন সুপারশপ, চাল ডাল ও মেট্রিক্স বাজার অনলাইন মার্কেটসমূহে পরীক্ষামূলক বাজারজাত করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

দায় মেটানোর ডলার নেই ২০ ব্যাংকের কাছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ২৫ অক্টোবরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের অন্তত ২০টি ব্যাংকের কাছে এলসি দায় মেটানোর মতো কোনো ডলার নেই। আমদানি দায় পরিশোধ করতে গিয়েই ঘাটতিতে পড়েছে এসব ব্যাংক। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় থেকে সংগৃহীত ডলার দিয়েও নিজেদের আমদানি দায় ও গ্রাহকদের বিদেশী ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। এ কারণে আমদানির নতুন এলসি খোলা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাংকগুলো। অনেক ব্যাংক খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলাও বন্ধ রেখেছে। যে কয়েকটি ব্যাংকের কাছে এখনো ডলার আছে, সেগুলোও কমে আসছে। আর এ সংকটের কারণে প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজার।

এদিকে ডলার সংকটের কারণে দেশের অনেক ব্যাংকই নির্ধারিত তারিখে এলসি দায় পরিশোধ করতে পারছে না। কোনো কোনো দায় পরিশোধে এক মাসও বিলম্ব হচ্ছে। এ অবস্থায় এলসির নিশ্চয়তা দেয়া বিদেশী ব্যাংকগুলোর কাছে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিদেশী অনেক ব্যাংকই এখন বাংলাদেশের জন্য নিজেদের ক্রেডিট লাইন কমিয়ে দিতে শুরু করেছে।

ব্যাংক নির্বাহীরা বলছেন, বিদ্যমান ডলার সংকট পরিস্থিতি ভয়াবহ। কিন্তু নীতিনির্ধারকরা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পারছেন না। প্রতিদিনই কোনো না কোনো ব্যাংক এলসি দায় পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর ডলার ঘাটতির পরিমাণও বাড়ছে। রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ যে হারে কমছে, তাতে ডলার সংকট আরো তীব্র হবে। ব্যাংকগুলো এলসি দায় পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বিদেশী ব্যাংকগুলো বাংলাদেশের এলসি নেয়াই বন্ধ করে দিতে পারে। দেশের অন্তত পাঁচটি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী প্রায় একই কথা বলেছেন। তবে কেউই নিজেদের নাম উল্লেখ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যমতে, সম্প্রতি বাংলাদেশের কয়েকটি ব্যাংক বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক মাশরেক ব্যাংক, আবুধাবি কমার্শিয়াল ব্যাংক (এডিসিবি), জার্মানিভিত্তিক কমার্জ ব্যাংক, ভারতের অ্যাক্সিস ব্যাংকের বেশকিছু এলসি দায় নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ব্যাংকও রয়েছে ব্যর্থ হওয়ার তালিকায়। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মতো দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংকও নির্ধারিত সময়ে এলসি দায় পরিশোধ করতে পারেনি।

দেশের মোট রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রায় ৩০ শতাংশই আসে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আবার রফতানি আয়ের দিক থেকেও ব্যাংকটির অবস্থান সবার শীর্ষে। তার পরও আমদানি দায় পরিশোধ নিয়ে বিপদে আছে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংকটি। সম্প্রতি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, মাশরেক, এডিসিবি, অ্যাক্সিস ব্যাংকের বেশকিছু এলসি দায় নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে পারেনি ইসলামী ব্যাংক। কোনো কোনো এলসি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ৩০ দিন পর্যন্ত বিলম্ব হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও ব্যাংকটির হিসাবে এখনো প্রায় ৮৮ মিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা বলেন, ইসলামী ব্যাংক তাদের অনশোর ব্যাংকিং থেকে বেশকিছু ডলার অফশোর ব্যাংকিংয়ে স্থানান্তর করে বিনিয়োগ করেছে। এ কারণে নিট এক্সচেঞ্জ পজিশনে ৮৮ মিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত দেখালেও প্রকৃত অর্থে ব্যাংকটির হাতে ডলার নেই। এ কারণে ইসলামী ব্যাংক যথাসময়ে এলসি দায় পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছে।

ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, দেশের কোনো ব্যাংকই চাহিদা অনুযায়ী ডলার পাচ্ছে না। এ কারণে সব ব্যাংকেই কমবেশি সংকট আছে। পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতেই আমরা কিছু এলসি দায় পরিশোধে বিলম্ব করেছি। তবে কিছুটা বিলম্ব হলেও সব এলসি দায় পরিশোধ করে দেয়া হচ্ছে। দেশের অকল্যাণ হয় এমন কোনো কাজ আমরা করি না। ডলারের জোগান বাড়ানোর জন্যও আমরা বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করছি, চলতি মাসের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

ইসলামী ব্যাংক ছাড়াও রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংক এরই মধ্যে অনেক এলসি দায় পরিশোধে বিলম্ব করেছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ছাড়াও ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ কমার্জ ব্যাংকের এলসি দায় পরিশোধে বিলম্ব করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংকসহ দেশের এক ডজন ব্যাংকের বিরুদ্ধে এলসি দায় বিলম্বে পরিশোধের অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী, দেশের ব্যাংকগুলো নিজেদের রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ১৫ শতাংশের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ করতে পারে। এ হিসাবে ঢাকা ব্যাংকের ডলার সংরক্ষণের সীমা ৩০ মিলিয়ন। কিন্তু ব্যাংকটি প্রায় ৬৮ মিলিয়ন ডলার ঘাটতিতে রয়েছে। কোনো ব্যাংক ডলার সংরক্ষণের অনুমোদিত সীমার সমপরিমাণ ঘাটতিতে থাকলে সেটিকে অবশ্য স্বাভাবিক দৃষ্টিতেই দেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে অনুমোদিত সীমার নিচে নেমে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে জরিমানার বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ডলার ঘাটতিতে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ ২৫৬ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এছাড়া এক্সিম ব্যাংক ৮৮ মিলিয়ন, ঢাকা ব্যাংক ৬৮, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ৬৪, ইউসিবিএল ৪৯, দ্য সিটি ব্যাংক ৪৭, পূবালী ব্যাংক ৪৫, প্রাইম ব্যাংক ৪২ ও সাউথইস্ট ব্যাংক ৪১ মিলিয়ন ডলার ঘাটতিতে রয়েছে। ইস্টার্ন ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ ৩৫ মিলিয়ন ডলার। মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৩৪, ওয়ান ব্যাংক ৩২, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ২৭, ন্যাশনাল ব্যাংক ২৪, ব্যাংক এশিয়া ১৪ ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ১১ মিলিয়ন ডলার ঘাটতিতে রয়েছে। ৮ মিলিয়ন ডলার করে ঘাটতিতে রয়েছে ট্রাস্ট, ব্র্যাক ও এনসিসি ব্যাংক। বিদেশী খাতের কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনেও ৪ মিলিয়ন ডলার ঘাটতি রয়েছে।

সম্প্রতি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ব্যাংকের নিট এক্সচেঞ্জ পজিশনে ডলার ঘাটতি কমাতে রেমিট্যান্স বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে আমাদের ঘাটতি কিছুটা কমেছে। শুধু আমরা নই, দেশের প্রায় সব ব্যাংকই ডলার সংকটে আছে।

অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. শামস্-উল ইসলাম বাছবিচার ছাড়াই বিশেষ কিছু গ্রাহককে অনৈতিক সুবিধা দিতে আমদানির এলসি খুলেছেন। এখন ওই এলসিগুলো নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ব্যাংকের ডলার সংকট চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। অনেক এলসি দায় ফোর্স লোনেও রূপান্তর হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী বলেন, কোনো ব্যাংকের নিট এক্সচেঞ্জ পজিশনে ডলার ঘাটতির মানে হলো ওই ব্যাংকের হাতে কোনো উদ্বৃত্ত ডলার নেই। গ্রাহকদের আমানত হিসাবে থাকা ডলার ভেঙে অনেক সময় ঘাটতি মেটানো হয়। গ্রাহক আমানতের ডলার ফেরত চাইলে ব্যাংক দিতে পারবে না। কোনো ব্যাংকের ডলার ঘাটতি অনুমোদিত ডলারসীমার বেশি হয়ে গেলে বুঝতে হবে ওই ব্যাংক নাজুক পরিস্থিতিতে আছে। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় থেকে ডলার সংগ্রহ করতে না পারলে আমদানি দায় পরিশোধে ওই ব্যাংক খেলাপি হতে বাধ্য।

নিজেদের সংকটের কথা জানাতে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকে এবিবি ও বাফেদার দায়িত্বে থাকা ব্যাংক নির্বাহীরা ডলার সংকটের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার সহায়তা চান। এমডিরা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার সহায়তা দেয়া না হলে দেশের অনেক ব্যাংকই এলসি দায় পরিশোধ করতে পারবে না। রিজার্ভ থেকে ডলার দেয়া না হলে অন্তত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার সোয়াপ করার সুযোগ দিতে ব্যাংক এমডিরা অনুরোধ করেন। যদিও বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান ব্যাংক এমডিদের দাবি সরাসরি নাকোচ করে দিয়েছেন।

সামগ্রিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডলারের বাজার স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের এলসি খোলার পরিমাণ প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি চৌকস টিম ব্যাংকের খোলা এলসিগুলো পর্যবেক্ষণ করছে। জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার সহায়তা দেয়া হচ্ছে। গতকালও ব্যাংকগুলোর কাছে রিজার্ভ থেকে ৬৩ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, সহসা দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে।

সূত্র : বণিক বার্তা

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

গ্যাসের সমস্যার জন্য চিনি দাম বেড়েছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, গ্যাসের জন্য চিনি উৎপাদন কম হয়েছিল, এ জন্য চিনির দাম বাড়াতে হয়েছে। কিন্তু আগামী দুতিন দিনের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা কিছুটা সমাধান হবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চতুর্থ সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি। সভাশেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চিনি নিয়ে নেতিবাচক প্রভাব দেখছি না, চিনিটা অ্যাভেইলেবল। জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই। যে সমস্যা আমরা পেয়েছি, সেটি হলো গ্যাসের সাপ্লাই অপ্রতুলতার কারণে ৬৬ শতাংশের বেশি চিনি উৎপাদন করতে পারছে না। আশা করি দু’একদিনের মধ্যে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক হলে যে পরিমাণ চিনি দরকার তা উৎপাদন সম্ভব হবে।

টিপু মুনশি বলেন, অনেক চিনি গুদামে পড়ে আছে, সেটি প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে বাজারে আসবে। গ্যাসের সমস্যা সমাধান হলে এটি প্রসেস করা যাবে। যারা গ্যাসের বিষয়টি দেখে, তারা বলছেন পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটছে। বিদ্যুতের অবস্থা ইমপ্রুভ করবে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে। তাই বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম কমলেও আমাদের বাজারে সে রকম প্রভাব পড়ছে না। গ্যাস সংকট অনেকটা কমে আসছে। ফলে এর প্রভাব পড়বে উৎপাদনের ওপর। তাই কিছু দিনের মধ্যেই চিনিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কমে আসবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তেলের দাম আবার সমন্বয় করা হবে। তবে সব কিছু মিলে মানুষকে এত চিন্তা করার কারণ নেই, দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

১৫ নভেম্বর থেকে ব্যাংকিং লেনদেনের নতুন সময় সীমা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে ব্যাংক লেনদেন। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অফিস সময় হবে সকাল ১০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নির্দেশনায় বলা হয়, লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। বর্তমানে ব্যাংকের লেনদেন হয় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

এর আগে ৩১ অক্টোবর নতুন সময়সূচিতে অফিস চলবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, শীত চলে আসায় আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নতুন সময়সূচিতেই অফিস চলবে।

উল্লেখ্য, বিদ্যুতের সংকটের কারণে গত আগস্ট মাসে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিসের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

এ্যারামিটের বোর্ড সভা আহবান 

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রসায়ন ও ঔষুধ শিল্প খাতের কোম্পানি এ্যারামিট লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ১৪ নভেম্বর আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা ৩ টায় চট্টগ্রামে অবস্থিত কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২২ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ সভায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হবে। এছাড়া রেকর্ড ডেট ও এজিএমের দিন ঘোষণা করা হবে।

গত বছর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটি।

একইদিন অনুষ্ঠিত আরেক বোর্ড সভায় কোম্পানিটির চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি