নাজিরা বাজারে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারে একটি জুতার কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ১০টি ইউনিট।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক।

তিনি বলেন, বিকাল ৫টার দিকে পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারে জুতার কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ৫টা ৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট পৌঁছায়। পরে আরও চার ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

সয়াবিন তেলের দাম কমলো লিটারে ৫ টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৭ টাকা। আগের দাম ছিল ১৯২ টাকা। এই দাম ১৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গত ১৩ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুদ ও মূল্য পর্যালোচার পর দাম কমানোর বিষয়ে এই সিদ্বান্ত নেয় সরকার।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
সরকারের সিদ্বান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৭ টাকা। বর্তমানে বাজারে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯২৫ টাকা থেকে ১৯ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ৯০৬ টাকা করা হয়েছে।

খোলা পাম সুপার তেল লিটার প্রতি ৪ টাকা কমে ১২১ টাকা থেকে হয়েছে ১১৭ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

ইউরোপে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য দেখে বুকটা ভরে যায়: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ইউরোপে যখন ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য দেখি তখন বুকটা ভরে যায়। পৃথিবীজুড়ে বিশেষকরে ইউরোপে বাংলাদেশের সাইকেল রপ্তানি হচ্ছে। উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরের মঙ্গা তাড়িয়েছে আর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে আরএফএল। সেই ধারাবাহিকতায় গঙ্গাচড়া এখন উন্নয়নের পথে। আর এই পথে রংপুরে কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো বাইসাইকেল ফ্যাক্টরি উদ্বোধনের মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আরএফএল বাইসাইকেলের আরো একটি কারখানার উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরির পিছনে না ছুটে মানুষকে উদ্যোক্তা হতে বলেছেন। আমরা সকল উদ্যোক্তাকে তাদের কাজে উদ্বুদ্ধ করছি। উদ্যোক্তা হতেও অনেক চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিতে হয়। বাধা পেরিয়ে সফলতার মাঝে আনন্দ অর্ন্তনিহিত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যুদ্ধের সময় লড়াই করে দেশকে মুক্ত করেছি। এখন দেশের অথনৈতিক মুক্তির লড়াইয়ে রয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। প্রাণ-আরএফএল এখন কৃষকদের নিয়ে কাজ করছে, গ্রামের মানুষকে নিয়ে কাজ করছে। ভারতের সব জায়গায় বিশেষ করে আসামে প্রাণ এর পণ্য ছেয়ে গেছে। এগুলো সবই আমাদের বিজয়গাঁথা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

আর্থিক খাতের তারল্য সংকট সমাধানে যা করা যেতে পারে : বিএসইসি কমিশনার

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তারল্য সংকট। কেননা, বর্তমানে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব সমস্যায় ভুগছে, তার মধ্যে অন্যতম এই তারল্য সংকট।

কীভাবে এই তারল্য সংকটের সৃষ্টি ও তা সমাধানে করণীয় কী, এ বিষয়ে দেশের একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকে মতামতধর্মী কলাম লিখেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান।

মতামতধর্মী ওই কলামে তিনি লিখেছেন, এই তারল্য সংকট মূলত অর্থনৈতিক। তবে তার মতে, এই পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে অনেকটা দায়ী নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের দুর্বল তদারকি। কিন্তু নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি স্বীকার করছেন না।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের এই কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এই তারল্য সংকট শুধু অর্থনৈতিক সক্ষমতার ক্ষেত্রেই ঝুঁকি তৈরি করবে না, বরং এটা অর্থনৈতিক এজেন্টদের মনেও ভয় ধরিয়ে দিতে পারে এবং সামগ্রিকভাবে আর্থিক বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ড. মিজানুর রহমান লিখেছেন, অর্থনীতির ক্রমাগত ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিক্রি করছে, যা ব্যালেন্স অব পেমেন্টে (বিনিময় ভারসাম্য) প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিক্রির ফলে তা থেকে কমে ২০২২ সালের অক্টোবরে ৩৫ বিলিয়নেরও নিচে নেমে যায়। মুদ্রাবাজারে ভারসাম্যহীনতা ও ফরেক্স তথা বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে একাধিক বিনিময় হারের অবনতির মাঝেই অর্থনীতির এই দ্রুত অবক্ষয় ঘটছে।

অন্যভাবে বললে, অনেক অনিশ্চয়তার একটি পরিবেশের মধ্য থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেবলমাত্র সুদের হার ও নামমাত্র বিনিময় হারকেই লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে। এ কারণে আমরা দুটি অস্থিতিশীল ফলাফল দেখতে পাচ্ছি।

প্রথমত, আমাদের আর্থিক ব্যবস্থায় তারল্য সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখনই খোলা বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিক্রি করে, তখনই টাকার তারল্য কমে যায়। যেহেতু মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার নামমাত্র বিনিময় হারকে এখনও অতিমূল্যায়িত বলেই বিবেচনা করা হয়, তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অতিরিক্ত চাহিদা বাড়ছে। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভকে আরও অবক্ষয়ের দিকে ডাকছে। এর ফলে তারল্য সংকট আরও বাড়বে।

সরকার তার ব্যয় নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ দৃষ্টি রাখছে। অথ্চ এটিই বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার একমাত্র উৎস। আর অন্যান্য চালকগুলোর মধ্যে গৃহস্থালির খরচ এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ, দুটিই সুদের হারের উপর নির্ভরশীল। সুদের হার এখনও সীমিত থাকায়, আমদানি চাহিদার বৃহত্তর অংশ নিয়ন্ত্রণ করার একমাত্র উপায়, এবং এইভাবে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা, সীমান্ত বাধা (উদাহরণস্বরূপ, কোটা এবং ট্যারিফ) এবং অন্যান্য প্রশাসনিক নির্দেশিকা স্থাপন করা। আমার মতে, এটি একটি স্ব-পরাজিত কৌশল, এবং এটি সংকটকালে কাজে আসে না।

দ্বিতীয়ত, বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়ার কারণে ২০২১ সালের জুলাই থেকে সামষ্টিক মূল্যের স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্বালানি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি (ইউক্রেনে রুশ হামলার কারণে) এবং করোনা মহামারীর পর অর্থনীতি পুনরায় চালু হওয়ার সাথে সাথে পুনরুত্থিত সামষ্টিক চাহিদা। এখন, ক্রমবর্ধমান মূল্যের স্তর মানে পণ্য ও পরিসেবার সমান পরিমাণে লেনদেনের জন্য নামমাত্র টাকার ভারসাম্যের আরও বেশি চাহিদা। এর মানে হল যে, রিয়েল মানি ব্যালেন্সের (প্রকৃত অর্থ ভারসাম্য) সরবরাহ গত ১২ মাসে দ্রুত সংকুচিত হয়েছে।

ড. মিজানুর রহমান বলেন, উল্লিখিত এই দুটি কারণই আমাদের আর্থিক খাতে তারল্য সংকটের সৃষ্টি করছে। এর পেছনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বল ভূমিকা এবং সুশাসনের অভাব সম্ভবত অন্যতম প্রধান কারণ। আমরা লক্ষ্য করছি যে, বিগত কয়েক বছর ধরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্পদের মানের অবনতি হয়েছে। নন-পারফর্মিং লোনের (এনপিএল) ক্রমবর্ধমান পরিমাণ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নগদ প্রবাহ হ্রাসকেই বোঝায়।

তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক কীভাবে এই তারল্য সংকট সমাধান করবে? 

মতামতধর্মী ওই লেখায় এ বিষয়ে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. মিজানুর রহমান।

তিনি লিখেছেন, প্রথমত, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আর্থিক ব্যবস্থায় নতুন তারল্য প্রবেশ করাতে হবে, প্রাথমিকভাবে রেপো (Repurchase Aggrement) মার্কেটের মাধ্যমে। যদি এই শ্রেণির সম্পদের সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরবর্তী সেরা শ্রেণির আর্থিক উপকরণ কেনার কথা বিবেচনা করতে পারে, যেমন ব্যাংক বন্ড। তবে অবশ্যই ন্যায্য মূল্যে হতে হবে। এর একটি নেতিবাচক ঝুঁকি হল- মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে, তবে ক্রমবর্ধমান তারল্য সংকট কাটিয়ে উঠতে এটিকে স্বল্পমেয়াদে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে।

দ্বিতীয়ত, অর্থ বাজারের ভারসাম্যের ক্ষেত্রে বাজার (মার্কেট) পরিষ্কার করার জন্য রিয়েল মানি ব্যালেন্স (প্রকৃত অর্থের ভারসাম্য) এর দ্বিগুণ পতন দ্রুত ক্রমবর্ধমান সুদের হার দাবি করবে। এখানে নির্দিষ্ট সুদের হারের অস্থিতিশীল ভূমিকার কথা বলা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশে স্থির রেখেছিল, যখন ভারসাম্যপূর্ণ সুদের হার ডাবল ডিজিটের যেকোনও একটি হবে। সুতরাং নীতিগত সমাধান হল- কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি মুদ্রাবাজারে সুদের হার অবাধে নির্ধারণ করতে দেয়, তাহলে এটি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের অধীনে একজন ব্যক্তির জন্য বাইপাস সার্জারির মতো কাজ করবে। সুদের হার পুনঃনির্ধারণ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ ও ক্রেডিটগুলোর ন্যায্য মূল্য দেবে এবং বেসরকারি খাতের ঋণের চাহিদা কমিয়ে দেবে। এতে অর্থ বাজার মৌলিক ভারসাম্যের মধ্যে স্থির হবে। এটি বৈদেশিক মুদ্রাবাজারকেও পরিচালিত করবে।

ড. মিজানুর রহমান বলেন, মুদ্রাবাজার ফরেক্স বাজারের সাথে জড়িত। অর্থবাজারে ভারসাম্য এবং এইভাবে ক্রমবর্ধমান সুদের হার, সমগ্র অর্থনীতির ক্রেডিট চাহিদাকে হ্রাস করবে এবং এইভাবে চলতি হিসাবের ঘাটতির উন্নতি ঘটাবে। বেসরকারি খাতের করপোরেশনগুলোর বাহ্যিক ঋণের কারণে অস্থিতিশীল অর্থপ্রদানের বাধ্যবাধকতাগুলো আবির্ভূত না হলে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ভারসাম্যহীনতারও উন্নতি হবে। বেসরকারি খাতের করপোরেশনগুলো যারা হেজিং ছাড়াই বিদেশি ঋণদাতাদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে তারাও তাদের অর্থপ্রদানের শর্তাবলী পুনর্গঠন করতে বাধ্য হবে। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার ঋণের অসাধু ব্যক্তি খাতের ঋণগ্রহীতাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করার সর্বোত্তম উপায় হল তাদের ন্যায্য-মূল্য দেওয়া (অবশ্য কৃত্রিমভাবে অতিমূল্যায়িত নয়) টাকার বিনিময় হার অনুযায়ী। বাহ্যিক অ্যাকাউন্টের স্থিতিশীলতার সবচেয়ে বড় বাধা হল কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনও অতিমূল্যায়িত টাকার সঙ্গেই বসবাস করছে। আসলে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার ২৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হলেও এক্ষেত্রে কোনও নিশ্চিয়তা নেই যে, টাকার মূল্য সুষমভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

আইএমএফ’র বিওপি (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) সহায়তা স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদে বোঝা কমিয়ে দেবে। আমি নিশ্চিত যে, সরকার দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে নতুন দীর্ঘমেয়াদী ঋণের সন্ধান করবে। উল্লেখ্য, সামগ্রিক বহিরাগত ঋণ এখনও জিডিপির সর্বশেষ পরিমাপের ২৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। কিন্তু সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য অগ্নিপরীক্ষা হচ্ছে- বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং দমন করা।

এই জটিল পরিস্থিতিতে, অর্থবাজার এবং ফরেক্স মার্কেট (বৈদেশিক মুদ্রা বাজার) উভয় ক্ষেত্রেই ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করা সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিন্ন লক্ষ্য হওয়া উচিত। এটি অর্জনের একমাত্র উপায় হল- বাজার ভারসাম্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত সুদের হার এবং বিনিময় হারকে অবাধে সমন্বয় করার অনুমতি দেওয়া। এটি অবিলম্বে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ ও চাহিদার পরিবর্তনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে স্থিতিশীল করবে। সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানতে সুদ হার বাড়ালো যুক্তরাষ্ট্র

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানতে সুদের হার আরেক দফা বাড়ালো যুক্তরাষ্ট্র। ১৫ ডিসেম্বর থেকে সুদের এই হার হবে ৪.৫০%। করোনা এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে সৃষ্ট যুদ্ধজনিত কারণে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয় সর্বত্র।

এ অবস্থায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সুদের হার গত ২৭ জুলাই পয়েন্ট ৭৫% বাড়ানো হয় ২.৫%। এরপরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না ঘটায় ২১ সেপ্টেম্বর সুদের হার বাড়িয়ে করা হয় ৩.২৫ ডলার।

গত ২ নভেম্বর সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪.০০ ডলার। ১৪ ডিসেম্বর করা হয় ৪.৫০ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি-নির্ধারকদের দু’দিনব্যাপী বৈঠকের পর ১৪ ডিসেম্বর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল সাংবাদিকদের জানান, মুদ্রাস্ফীতির পাগলা ঘোড়ার গতি কিছুটা স্থিমিত হলেও আমি সন্তুষ্ট নই। সেজন্যে আবারও সুদের হার বাড়ানো হলো। এবং এটাই শেষ নয়। সামনের বছরের শেষে সুদের হার আরও বাড়ানো হবে যদি গতি-প্রকৃতি পরিবর্তিত না হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/

ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ‘এন’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ‘এন’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আগামী রবিবার থেকে বিমাটির শেয়ার ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হবে।

জানা গেছে, কোম্পানিটি সমাপ্ত অর্থ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আর এই লভ্যাংশ দিয়ে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে।

সম্প্রতি কোম্পানিটি এই লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবে লভ্যাংশ পাঠিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/

স্টাইল ক্রাফটের ক্যাটাগরি পরিবর্তন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড লভ্যাংশ কম দেওয়ায় ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামানো হয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।

আগামী রবিবার থেকে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে উভয় শেয়ারবাজারে।

জানা গেছে, কোম্পানটি সর্বশেষ অর্থ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

এর আগে কোম্পানিটি লেনদেন এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

ইয়াকিন পলিমারের বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল শিল্প খাতের কোম্পানি ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক বোর্ড সভা আগামী ২০ ডিসেম্বর আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় কোম্পানিটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা ৪টায় রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

লেনদেনের শীর্ষে সালভো কেমিক্যালস; ২য় মুন্নু সিরামিকস

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দিনশেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছেসালভো কেমিক্যালস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা মুন্নু সিরামিকস লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ১৩ লাখ টাকার।

ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং লিমিটেড ২১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে-  আমরা নেটওয়ার্কসের ১৪ কোটি ৯৪ লাখ, জেমিনী সী ফুডসের ১২ কোটি ৯২ লাখ, ওরিয়ন ফার্মার ১২ কোটি ৫১ লাখ, কেডিএস এক্সেসরিজের ১২ কোটি ১১ লাখ, বসুন্ধরা পেপার মিলসের ১২ কোটি ৯ লাখ, মুন্নু এগ্রোর ১০ কোটি ৮ লাখ ও জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের ৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস