পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ঋণ প্রাপ্তি ও পণ্য রপ্তানিতে কৃষিপণ্যের মতো সুযোগ-সুবিধা দিতে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ফলে এখন থেকে পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, পাট কৃষিজাত পণ্য হিসেবে বিবেচিত হলে চাষিরা কৃষি ঋণের মতো পাটঋণ পাবেন। রপ্তানি খাতের সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

পাট এতো দিন কী পণ্য হিসেবে বিবেচিত হতো- এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পাট উৎপাদনের যে প্রক্রিয়া ছিল, অনেক ক্ষেত্রে শিল্পজাত পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পাট উৎপাদনে উৎসাহ যাতে বেশি দেওয়া যায়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

গার্মেন্ট এক্সেসরিজের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু বুধবার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গার্মেন্ট এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল ও মেশিনারিজ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী (গ্যাপেক্সপো) আগামী বুধবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে। একই সঙ্গে গার্মেন্ট টেকনোলজি, ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ট্রেড ফেয়ার বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন এবং ফেব্রিক্স এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে। চার দিনের এসব প্রদর্শনী রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) এসব প্রদর্শনীর আয়োজন করছে। এতে সহআয়োজক হিসেবে রয়েছে ভারতের এএসকে অ্যান্ড এক্সিবিশন।

প্রদর্শনী উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল লা ভিঞ্চিতে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএপিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন মতি জানান, এ বছর ৬৬০টি প্যাভিলিয়নে ২৫০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য এবং মেশিনারিজ প্রদর্শন করবে। চীন, জাপান, জার্মানি, ভারত, কোরিয়াসহ ১৮ দেশের প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নিচ্ছে।

এক্সেসরিজ শিল্পে তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ, সরাসরি রপ্তানি- ৪টি ক্যাটাগরিতে মোট ১৩টি ট্রফি দেওয়া হবে। প্রদর্শনীর শেষ দিনে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

পল্লবী স্টেশনেও থামবে মেট্রো রেল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে পল্লবী স্টেশনেও থামবে মেট্রো রেল। গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া মেট্রো রেল বর্তমানে সরাসরি আগারগাঁও স্টেশনে থামে। মাঝে আর কোথাও থামে না।

আজ সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।

এই কর্মকর্তা জানান, এমআরটি লাইন-৬ এর পল্লবী স্টেশনটি ওইদিন থেকে সর্বসাধারণের জন্য খোলা হবে।

গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রো রেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম ধাপে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেল চালু হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ মতিঝিল পর্যন্ত চালু হওয়ার কথা রয়েছে। আর ২০২৫ সালের মধ্যে মেট্রো রেল যাবে কমলাপুর পর্যন্ত।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

তিতাস গ্যাসের লভ্যাংশ বিতরণ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানী ও শক্তি খাতের কোম্পানি তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

পিপলস লিজিংয়ের লেনদেন বন্ধের সময় ৭৯ দফা বাড়লো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখার সময় আবারও বেড়েছে। কোম্পানিটিকে আগামীকাল ১০ জানুয়ারি থেকে ৭৯ দফায় আরও ১৫ দিন শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছে ডিএসই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত ২০১৮ সালের ১৪ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন বন্ধের ঘোষণা করে ডিএসই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ৯৩২তম বোর্ড সভায় সেই স্থগিতাদেশই বর্ধিত করে গত ১৩ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট করা হয়।

এরপর আবারো দ্বিতীয় দফায় ২৮ আগস্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, ৩য় দফায় গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, ৪র্থ দফায় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর, ৫ম দফায় ১৩ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর, ৬ষ্ঠ দফায় ২৮ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর, ৭ম দফায় ১১ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর ৮ম দফায় ২৬ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর, ৯ম দফায় ১১ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর,

২০১৯ সালের ১০ম দফায় থেকে ৩০ দফায় এই লেনদেন বন্ধ রাখা হয়।

৩০ দফায় ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর হতে ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি আর ৩১ দফায় ১২ জানুয়ারি হতে ২৭ জানুয়ারি। একই বছরের ৫২ দফায় ২৪ নভেম্বর হতে ৮ ডিসেম্বর, ৫৩ দফায় ৯ ডিসেম্বর হতে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লেনদেন বন্ধ রাখা হয়।

আর ৫৪ দফায় ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর হতে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ৭৮ দফায় ২১ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি ও ৭৯ দফায় আগামীকাল ১০ জানুয়ারি থেকে আরো ১৫ দিন পর্যন্ত লেনদেন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় ডিএসই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

লেনদেনের শীর্ষে বসুন্ধরা পেপার; ২য় জেনেক্স ইনফোসিস

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দিনশেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ১২ লাখ টাকার।

ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং লিমিটেড ১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে-  বাংলাদেশ শিপিং কর্পােরেশনের ১২ কোটি ৯৬ লাখ, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের ১২ কোটি ৬ লাখ, আমরা নেটওয়ার্কসের ১১ কোটি ৭১ লাখ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১০ কোটি ৯৮ লাখ, ইস্টার্ন হাউজিংর ১০ কোটি ৫৯ লাখ, সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার ১০ কোটি ৪ লাখ ও এডিএন টেলিকম লিমিটেডের ৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

  1. বসুন্ধরা পেপার মিলস
  2. জেনেক্স ইনফোসিস
  3. ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং
  4. বাংলাদেশ শিপিং কর্পােরেশন
  5. নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস
  6. আমরা নেটওয়ার্কস
  7. ওরিয়ন ইনফিউশন
  8. ইস্টার্ন হাউজিং
  9. সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা
  10. এডিএন টেলিকম লিমিটেড।

দিনশেষে সূচক স্থিতিশীল হলেও বেড়েছে লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকগুলো আগের অবস্থানে স্থিতিশীল ছিল। এদিন সেখানে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে । অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ০.৭৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬১৯১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ০.৩৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩৫২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.২৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২১৯১ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৮৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩২৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৩২টি শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৩১টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ১৬৪টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো – বসুন্ধরা পেপার মিলস, জেনেক্স ইনফোসিস, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং, বাংলাদেশ শিপিং কর্পােরেশন, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, আমরা নেটওয়ার্কস, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইস্টার্ন হাউজিং, সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ও এডিএন টেলিকম লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৪.৪৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৩০১ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ১৪৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৭টির, কমেছে ৪৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৬টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস ও সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

ইসলামী ব্যাংক নিয়ে ‘গুজব রটনাকারী’ ৫ জন গ্রেপ্তার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ইসলামী ব্যাংকসহ ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে ‘গুজব রটনাকারী’ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, সম্প্রতি এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে গুজব রটনার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, মোহাম্মদ নুর উন নবী, মো. আফসার উদ্দিন রোমান, মো. আবু সাইদ সাজু, মো. স্বাধীন মিয়া ও মো. আব্দুস সালাম। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গতকাল তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। দেশ বিরোধী চক্র সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাংকিং খাত নিয়ে আস্থার সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছিল। এই চক্রের মূল উদ্দেশ্য, দেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা।’

‘গ্রেপ্তারকৃতরা এস আলম গ্রুপসহ স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানদের নামে ব্যাংকিং সংক্রান্ত মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব চালিয়ে আসছে। তারা প্রবাসীদের রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়েও প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে, ব্যাংকে টাকা নেইসহ নানাবিধ গুজব রটানোর কাজে তারা জড়িত’, যোগ করেন তিনি।

সম্প্রতি এস আলম গ্রুপের ঋণ উত্তোলন নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানো হয়েছে। পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিকরা ব্যাংক লুটেরা; অনুগ্রহ করে ৭টি ব্যাংক ও দেশের জনগণকে এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাঁচান।

ডিবি প্রধান বলেন, ‘এই পোস্টার লাগানোর পেছনে গ্রেপ্তারকৃতরা ও বিদেশে অবস্থানরত কয়েকজনের হাত রয়েছে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

দেশের রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) কমে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১১২ কোটি ডলার পরিশোধের পর গতকাল রবিবার দিন শেষে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ২৫৭ কোটি ডলার। গত বুধবার দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ৩৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর গত বছর সংকট শুরু হলে তা কমতে শুরু করে। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ ৩ হাজার ২৫৭ কোটি ডলার হলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে রিজার্ভের ৮০০ কোটি ডলার ব্যবহারযোগ্য নয়। ফলে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ২ হাজার ৪৫৭ কোটি ডলার।

এর আগে গত নভেম্বর মাসে আকুতে ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছিল। আমদানি দায় মেটাতে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর তাতে কমছে রিজার্ভ।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে আন্ত-আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এশিয়ার নয়টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রপ্তানি হয়, তা দুই মাস পরপর নিষ্পত্তি হয়। তবে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়। আকুর সদস্যদেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ। তবে দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রীলঙ্কা এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।

ডলারের ওপর চাপ কমাতে ঋণপত্র খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শতাধিক পণ্যে বাড়তি শুল্ক বসিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এতে কমেছে ঋণপত্র খোলা। তবে আমদানি দায় পরিশোধ কমেনি।

রিজার্ভ থেকে আট বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিজার্ভের অর্থে দেশে তহবিল গঠন করেছে। রিজার্ভ থেকে ৭০০ কোটি ডলার (৭ বিলিয়ন) দিয়ে গঠন করা হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////