প্রাকৃতিক গ্যাসের সহজাত (কনডেনসেট) পরিশোধনের মাধ্যমে স্থানীয় রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদিত বিভিন্ন জ্বালানি তেলের ক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) বর্তমানের চেয়ে কম দামে ডিজেল, অকটেন, কেরোসিনসহ অন্যান্য জ্বালানি সরবরাহ করবে দেশের রিফাইনারিগুলো। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে দর কমায় তাদের কাছেও আগের চেয়ে কম দামে কনডেনসেট বিক্রি করবে পেট্রোবাংলা। এতে স্থানীয় কনডেনসেট ব্যবহারকারী রিফাইনারিগুলোর মুনাফা বিশেষ প্রভাবিত না হলেও অনিশ্চয়তা বেড়ে যাচ্ছে কনডেনসেট আমদানি করা রিফাইনারির। এমনই সাবসিডিয়ারি পেট্রোম্যাক্সের কারণে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ারের মুনাফা নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েছে।
৮ মার্চ দেশী রিফাইনারিগুলোর কাছ থেকে বিপিসির কেনা বিভিন্ন তেলের দাম ৮ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এর আগে রিফাইনারিগুলোর কাছ থেকে প্রতি লিটার অকটেন কেনা হতো ৮৮ টাকায়, যা এখন ৫৮ টাকা ২৭ পয়সায় নামিয়ে আনা হয়েছে। একইভাবে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ৮৫ টাকা থেকে ৫৬ টাকা ২৯ পয়সা, কেরোসিন ৬১ থেকে ৫৭ টাকা ৪৪ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৬০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা ৯৪ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হবে।
একই সঙ্গে পেট্রোবাংলার অধীনস্ত কোম্পানি ও বিদেশী কোম্পানির দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে সরবরাহকৃত কনডেনসেটের দরও কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। গেজেট প্রকাশের আগে পেট্রোবাংলার কাছ থেকে প্রতি লিটার ভারী কনডেনসেট ৫৮ টাকায় কিনত শোধনাগারগুলো, যা এখন ৪২ টাকা ৪৭ পয়সায় নেমে এসেছে। এছাড়া হালকা কনডেনসেটের বিক্রয়মূল্য কমিয়ে লিটারপ্রতি ৫৩ টাকা ৮ পয়সা করেছে সরকার।
২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির সমন্বিত টার্নওভার ছিল ৫০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সাবসিডিয়ারি পেট্রোম্যাক্সেরই ৩৬২ কোটি টাকা। সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণ উৎপাদনে আসায় চলতি অর্ধবার্ষিকীতে শাহজিবাজারের সমন্বিত টার্নওভার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭৯ কোটি টাকায়। তবে পণ্যের বিক্রয়মূল্য কমে যাওয়ায় মুনাফা নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এএআর