আগামী জুন পর্যন্ত ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য চাহিদা পূরণ করেও আগামী বছরের জুন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে বলে তথ্য এসেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ব্রির এক গবেষণা প্রতিবেদনে।

সেখানে বলা হয়েছে, দেশে এ বছর অতিবৃষ্টিতে কয়েক দফা বন্যায় ৩৫টি জেলার আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সারা বছরের উৎপাদন ও চাহিদা বিবেচনা করলে দেশে খাদ্য ঘাটতির ‘আপাতত কোনো আশঙ্কা নেই’।

ব্রি’র ঊর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা এম আব্দুল মোমিন বলেন, গত এক মাস ধরে দেশের ১৪টি কৃষি অঞ্চলে জরিপ করে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইনস্টিটিউট এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।

“সারা দেশে চালের উৎপাদন কম এবং খাদ্য ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কার কথা যেভাবে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে, তা আদৌ ঠিক নয়।”

গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এ বছর আউশ, আমন ও বোরো মিলিয়ে মোট চাল উৎপাদন হবে ৩৭ দশমিক ৪২ মিলিয়ন টন।

“চাহিদা ও যোগানের অবস্থা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিসেম্বর ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত আভ্যন্তরীণ চালের চাহিদা মিটিয়ে ব্রির হিসাবে কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে।”

আব্দুল মোমিন বলেন, মাথাপিছু দৈনিক ৪০৫ গ্রাম চাল ধরে সর্বমোট ১৬ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার জন্য এই হিসাব করা হয়েছে। এছাড়া মোট ধান উৎপাদনের ২৬ শতাংশ ‘নন-হিউম্যান কনজাম্পশনের’ বাৎসরিক চাহিদা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবিরের নেতৃত্বে এ গবেষণা দলে ছিলেন জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুর রউফ সরকার, সিদ্দিকুর রহমান, আব্দুল আজিজ, ইসমাইল হোসেন এবং প্রশাসন বিভাগের পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক।

ব্রি বলছে, গত বছরের তুলনায় ১৪টি কৃষি অঞ্চলের মধ্যে এ বছর আমনের ফলন দিনাজপুরে ১১ দশমিক ১ শতাংশ, খুলনায় ৭ দশমিক ১ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১ দশমিক ৩ শতাংশ, এবং যশোরে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে বাকি ১০টি কৃষি অঞ্চলে আমন ধানের ফলন বিভিন্ন হারে কমেছে। তবে এ বছর প্রতিটি কৃষি অঞ্চলে আমন আবাদের এলাকা গত বছরের তুলনায় কম ছিল।

এ বছর ৫ থেকে ৬ ধাপে মোট ৩৫ জেলা বন্যায় কবলিত হয়েছিল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় মোট ১ লাখ ৫০০০ হেক্টর জমির আমন আবাদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যে এলাকার বন্যা হয়নি, সেখানে ধানের ফলন প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কম, মাঝারি ও অতি বন্যাপ্রবণ এলাকায় ধানের ফলন যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ শতাংশ এবং ২৪ দশমিক ১ শতাংশ কম হয়েছে।

সব মিলিয়ে এবার আমন মৌসুমে চালের গড় ফলন হবে প্রতি হেক্টরে ২ দশমিক ৩০ টন। যে এলাকায় বন্যা হয়নি সেখানে গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ২ দশমিক ৬৯ টন। আর কম দুর্গত এলাকায় প্রতি হেক্টরে ২ দশমিক ৪২ টন, মাঝারি দুর্গত এলাকায় হেক্টর প্রতি ২ দশমিক ১৮ টন এবং প্রবল বন্যা দুর্গত এলাকায় হেক্টর প্রতি ১ দশমিক ৯৪ টন ফলন হয়েছে।

সূত্র : বিডি নিউজ২৪

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *