আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করার এক বছরের মধ্যে আবারো একই প্রস্তাব দিয়েছে মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস। সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ব্যাংকঋণ পরিশোধের পাশাপাশি ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায় কোম্পানিটি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে মাত্র বছরখানেক আগেই প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তা ব্যাংকঋণ পরিশোধে ব্যয় করে কোম্পানিটি। এবার রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছে মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস।
সম্প্রতি এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে রাইট শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অবশ্য শেয়ারহোল্ডার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে তা কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।
আইনে কোনো বাধা না থাকলেও তালিকাভুক্তির স্বল্প সময়ে নতুন করে অর্থ সংগ্রহের প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের ভবিষ্যত্ কর্মপরিকল্পনায় দুর্বলতার বিষয়টিও ফুটে উঠছে বলে মনে করেন তারা।
গত বছরের নভেম্বরে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে অভিহিত মূল্যে শেয়ার ছেড়ে ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। সংগৃহীত অর্থ থেকে ২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যাংকঋণ পরিশোধের কথা বলা হয় আইপিও প্রসপেক্টাসে। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৬ কোটি ১৭ লাখ ১৯ হাজার ৫৫২ টাকা এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
বিষয়টি অনেকটাই অস্বাভাবিক বলে ব্যাখ্যা করে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মোহাম্মদ মুসা বলেন, এত স্বল্প সময়ের ব্যবধানে কোম্পানির দুইবার অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক হতে পারে না। এক বছরের মধ্যে যদি ব্যবসা সম্প্রসারণ অথবা পুনরায় ব্যাংকঋণ পরিশোধের প্রয়োজন হয়ে থাকলে, সেটি কোম্পানি কর্তৃপক্ষের আইপিও ইস্যুর সময়ে বিবেচনা করা উচিত ছিল। এসব প্রস্তাব অনুমোদনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।
আইপিওর টাকায় দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ করা হলেও এবার রাইট শেয়ারের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিটি। ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে রোটর প্রজেক্টের অধীনে একটি রিং প্রজেক্ট স্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছে। চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে দুটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে তিনটি রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব দিয়েছে এ কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ রফতানিমুখী সুতা উত্পাদন করে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/চঞ্চল