সদ্য অনুমোদিত কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ইউপিজিডিসিএল) আইপিও আবেদনে অনিবাসী বাংলাদেশীদের (এনআরবি) জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে সংরক্ষিত কোটায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কিছু স্থানীয় বিনিয়োগকারী অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রেমিট্যান্স পাঠানোর জাল কাগজপত্র তৈরি করে এ অনিয়ম করছেন এসব বিনিয়োগকারীরা।
তাদের দাবি, এতে প্রকৃত এনআরবি বিনিয়োগকারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। বুধবার এ দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছেন কিছু বিনিয়োগকারী। তারা এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
বর্তমানে ইউনাইটেড পাওয়ারের আইপিওতে এনআরবিদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত আছে। এ কোটায় আবেদন করতে হলে ব্যাংকে বিশেষ একাউন্ট থাকতে হয়। বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আকারে পাঠানো অর্থ দিয়ে আবেদন করতে হয় আইপিওতে। এ ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রাকে টাকায় রূপান্তরের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করতে হয়।এটি এনক্যাশমেন্ট সার্টিফিকেট নামে পরিচিত। মূলত এই এনক্যাশমেন্ট সার্টিফিকেট নিয়েই চলছে জালিয়াতি।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউনাইটেড পাওয়ারের আইপিও’র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা আইপিও’র ব্যবসা করছে অসাধু বিনিয়োগকারীরা। এর মাধ্যমে তারা প্রবাসীদরে জন্য বরাদ্দ কোম্পানিটির শেয়ার হাতিয়ে নিচ্ছে। এর ফলে প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা উত্তরা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, এনআরবি কর্মশিয়াল ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ও আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে আবেদন করে আসছে।
প্রকৃতপক্ষে প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা নিতান্তই কম। স্থানীয় কিছু বিনিয়োগকারী জালিয়াতির আশ্রয় নেয়ায় তারা তাদের কোটার শেয়ার ঠিকমত পান না। এতে প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা রীতিমত হতাশ। এসব হিসাবের প্তকৃত দন্ত করলে বড় ধরণের জালিয়াতি বেরিয়ে আসবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এলকে