ইস্যু আনতে ব্যর্থ তিন মার্চেন্ট ব্যাংককে সতর্ক করল বিএসইসি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে নতুন কোম্পানি আনতে ব্যর্থ হওয়ায় তিন মার্চেন্ট ব্যাংককে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো হলো বেঙ্গল ইনভেস্টমেন্ট, এক্সিম ইসলামী ইনভেস্টমেন্ট এবং পিএলএফএফ ইনভেস্টমেন্ট।

জানা যায়, বেঙ্গল ইনভেস্টমেন্ট ২০১২ সালে এবং এক্সিম ইসলামী ইনভেস্টমেন্ট ২০১০ সালে সর্বশেষ ইস্যু এনেছে। এছাড়া পিএলএফএস ইনভেস্টমেন্ট গত তিন বছরেও একটি ইস্যু আনতে পারেনি। অথচ প্রতি দু’বছরে কমপক্ষে একটি আইপিওর আবেদন জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। এ কারণে সম্প্রতি ওই তিনটি মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে ইস্যু না আনার কারণ জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা চায় বিএসইসি। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যাখ্যাও দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিএসইসি সার্বিক দিক বিবেচনা করে তিনটি মার্চেন্ট ব্যাংকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তথ্যমতে, শেয়ারবাজারে নতুন নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে লক্ষ্যে মার্চেন্ট ব্যাংককে নিবন্ধন দিয়ে থাকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যান্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজার) রুলস, ১৯৯৬ অনুযায়ী, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে দু’বছরে ন্যূনতম একটি আইপিও ইস্যু জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু গত দু’বছরে নিবন্ধিত ওই তিনটি মার্চেন্ট ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য কোনো কোম্পানির প্রস্তাব বিএসইসিতে জমা দেয়নি, যা সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন।

শেয়ারবাজারে নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে কাজ করে মার্চেন্ট ব্যাংক। এছাড়া নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের পাশাপাশি গ্রাহকদের পক্ষে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা এবং আন্ডার রাইটিংয়ের কাজও করে মার্চেন্ট ব্যাংক। কিন্তু নিজেদের এ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হচ্ছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান।

বর্তমানে মার্চেন্ট ব্যাংকের সংখ্যা ৬৩টি। গত পাঁচ বছরে শেয়ারবাজারে নতুন ইস্যু আনতে ব্যর্থ হয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ মার্চেন্ট ব্যাংক। অর্থাৎ যে পরিমাণ মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে, সে অনুযায়ী তারা নতুন ইস্যু আনতে পারছে না। প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৪ সালে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো সবচেয়ে বেশি কোম্পানি বাজারে আনতে সক্ষম হয়। এ বছর মোট ২০টি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর পরে ধারাবাহিকভাবে নতুন ইস্যু আনা কমতে থাকে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বললে বাজারসংশ্লিষ্টরা বলেন, কোম্পানিগুলো গুটিকয়েক মার্চেন্ট ব্যাংকে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে বেছে নিচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানকে। ফলে ছোট মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। ফলে এসব মার্র্চেন্ট ব্যাংক বাজারে কোম্পানি আনতে ব্যর্থ হচ্ছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলে, ‘ইস্যু ব্যবস্থাপনার অনুমোদন থাকার পরও কিছু মার্চেন্ট ব্যাংক পাবলিক ইস্যু ব্যবস্থাপনায় অনাগ্রহী। তারা শুধু পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা ও অবলেখনে আগ্রহী। তাই এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিএসইসি। যেসব মার্চেন্ট ব্যাংক দু’বছরের মধ্যে ইস্যু আনতে পারেনি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’ সূত্র : শেয়ার বিজ

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এলকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *