নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভোর সাড়ে ছটায় বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে দুশ মাইল দুরের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা দিনাজপুর রওয়ানা হয়েছিলেন লীনা পারভিন। দুঃসহ যানজট পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছেছেন রাত একটারও পর।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, স্বজনদের সাথে ঈদ করার যে উৎসাহ নিয়ে বেরিয়েছিলেন, একসময় তা চরম হতাশা ছাপিয়ে দুঃস্বপ্নে রূপ নিয়েছিলো। যানজট এড়াতে শুক্রবার ভোর সাড়ে ছ’টার মাইক্রো বাসে করে ঢাকা ছাড়েন লীনা পারভিন। কিন্তু লাভ হয়নি।
সাভারের আশুলিয়া গিয়েই ঐ সাত সকালেই যানজটে পড়ে যান। রীনার কথায়, “আশুলিয়া থেকে অল্প দুরের পথ গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত পৌছুতেই চার-পাঁচ ঘণ্টা লেগে যায়।”
সেই যানজট থেকে তারপর কোনো মুক্তি ছিলনা। গাড়ি যখন ঢাকা থেকে মাত্র ৬০ মাইল দুরের টাঙ্গাইল পৌঁছে তখন বেলা সাড়ে তিনটা। কিছু দুরের যমুনা ব্রিজ যেতে বিকলে সাড়ে পাঁচটা।
বাসা থেকে পথে খাওয়ার জন্য কিছু খাবার রান্না করে এনেছিলেন। গরমে একসময় সেসব নষ্ট হয়ে যায়।
“আমি একসময় চরম মাসসিক চাপের মধ্যে পড়ে যাই। বাচ্চারা অস্থির হয়ে পড়ছিলো। গরমে খাবার নষ্ট হয়ে গেল। গাড়ির ড্রাইভারকে অসুস্থ দেখাচ্ছিল। বুঝতে পারছিলাম কি করবো। কতক্ষণে যেতে পারবো। বাড়ি যাওয়ার সব উৎসাহ শেষ হয়ে গিয়েছিলো।”
তিনি বলেন, যারা বাসে, ট্রাকে করে যাচ্ছিলেন, তাদের দুর্ভোগ ছিল অবর্ণনীয়। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের।
কেন এই যানজট তা বোধগম্য হয়নি লীনা পারভিনের। জট ছাড়ানোর কোনো উদ্যোগও তিনি দেখেননি।
ঈদ উৎসবের জন্য বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন এখন লক্ষ লক্ষ মানুষ, কিন্তু এদের বেশিরভাগই বিভিন্ন মহাসড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে পড়ে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, প্রায় সব কটি মহাসড়কেই এখন তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে, ফলে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিগুণ-তিনগুণ সময় লাগছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এআর/