বিকল্প বাজার ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে ফেরাতে মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্তিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এদেরকে মূল বাজারের লেনদেনে ফিরতে হলে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মতো ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধনের বাধ্যবাধকতার পাশাপাশি পুঞ্জীভূত মুনাফায় থাকতে হবে।
সম্প্রতি এ ধরনের যোগ্যতা ঘাটতির কারণ দেখিয়ে মূল বাজারে ফিরতে ওটিসির এক কোম্পানির আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে বিএসইসি।
কোম্পানিগুলোকে মূল মার্কেটে ফেরাতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। গত ১৪ অক্টোবর এ নীতিমালা তৈরির জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে বিএসইসি।
এসব কোম্পানিকে আইপিওর মতো ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধনের বাধ্যবাধকতা, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন পরিপালনে ব্যর্থতা ছাড়াও পুঞ্জীভূত লোকসানকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএসইসি।
ওটিসি মার্কেটে স্থানান্তর হওয়া সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড দুই বছর ধরে মূল বাজারে ফেরার আবেদন জানিয়ে আসছে। শেয়ার ডিমেট (ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তর) না করায় আবেদন নাকচ হয়ে যায়। পরে নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা, শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়া ও শেয়ার ডিমেট করে গত ৮ জুলাই বিএসইসির কাছে আবেদন জানায় কোম্পানিটি।
বর্তমানে ডিএসইর ওটিসি মার্কেটে ৬৬টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র চারটি কোম্পানি রয়েছে, যাদের পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা বা তার বেশি। আর ৫ কোটি টাকা বা এর নিচে পরিশোধিত মূলধন রয়েছে, এমন কোম্পানির সংখ্যা ৩৩টি। এর মধ্যে ১৩টি কোম্পানি রয়েছে, যাদের পরিশোধিত মূলধন ১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এলকে