১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজার আলোচিত চিটাগাং সিমেন্টের শেয়ার কারসাজি মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শেয়ারবাজার সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে গত রবিবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।
বিএসইসির আইনজীবী আবদুল্লাহ এম রফিকুল ইসলাম জানান, উচ্চ আদালত মামলার কার্যক্রমের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। আমরা তার আগেই মামলা চালুর জন্য উদ্যোগ নেব।
জানা গেছে, চিটাগাং সিমেন্ট মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার পর ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর ৮ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে রোববার এ মামলার রায় ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি।
ট্রাইব্যুনালে বিচারক বলেন, রায়টি ঘোষণা হলে সবার জন্য ভালো হত। তিনি বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, কি রায় দিতাম তা আপনারা ভাবতেও পারেন না। এ সময় আদালতে বিএসইসির আইনজীবী মাসুদ রানা খান, উপপরিচালক এএসএম মাহমুদুল হাসান, আসামি রকিবুর রহমান, এএসএম শাহদুল হক বুলবুলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ৩ নভেম্বর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ-১৯৬৯ এর ২৫এ ধারায় অর্পিত ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের বেঞ্চে রিট করেন আসামি এএসএম শাহদুল হক বুলবুল। রিটের শুনানি শেষে চিটাগাং সিমেন্টের মামলা কার্যক্রমের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ আদালত।
এর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ২৫এ ধারায় অর্পিত ক্ষমতার বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করে এর আগেও দুটি রিট করা হয়। ২০০৬ সালে রিট করেন রিজওয়ান বিন ফারুক ও ২০১৫ সালে করেন এমএ সালাম নামে দুই বিনিয়োগকারী।
অপরদিকে চিটাগাং সিমেন্ট মামলার কার্যক্রম চালুর উদ্যোগের বিষয়ে এ মামলার আসামি ও উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা এএসএম শহিদুল হক বুলবুল বলেন, এর আগে যেহেতু সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ-১৯৬৯-এর ২৫এ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি রিট রয়েছে, সেহেতু সে দুটি রিট নিষ্পত্তি না করে চিটাগাং সিমেন্টের মামলা চালু করা যাবে না। যদি বিএসইসি রিট নিষ্পত্তির আগেই চিটাগাং সিমেন্টের মামলা চালুর উদ্যোগ নেয় তাহলে তা অনৈতিক।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/বিএ