শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ত তিতাস গ্যাস লিমিটেড এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের পক্ষ থেকে কমিশন কমানোর বিষয়টি সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে গোপন রাখা হয়। এখানে বিনিয়োগকারীর স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু।
মতিঝিলে ডিএসই মেম্বারস ক্লাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘২০১০ ও ১৯৯৬ সালের শেয়ারবাজার ধস নিয়ে তথ্যভিত্তিক কোনো রিপোর্ট আসে নাই। যে কারণে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। কিন্তু তারা যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে তা আমাদের কাছে গভীর ষড়যন্ত্রের চক্র হিসেবে মনে হয়।’
টিটু বলেন, ‘গত ২৫ তারিখ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগের বিষয়ে নিউজ প্রকাশিত হয়। যে বিষয়ে দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে কেউ কেউ এ নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এ মন্তব্যের ফলে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি এ কয়েকদিনে শেয়ারবাজারের বাজার মূলধন কমেছে ২৪০০ কোটি টাকা। তাই অনুমান করে কোনো মন্তব্য করা ঠিক না। কারণ এতে শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
তিতাস গ্যাস কোম্পানি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি প্রায় ৯ টাকা আয় করে বলে জানান আহসানুল ইসলাম টিটু। কিন্তু লভ্যাংশ ঘোষণা করে ১৫ শতাংশ। যে কোম্পানিটি আগে ধারাবাহিকভাবে ৩০ শতাংশ বা তার ওপরে লভ্যাংশ প্রদান করে। তিতাস গ্যাসের এ আচরণে কোম্পানিটিসহ তালিকাভুক্ত সরকারি আরও ৬টি কোম্পানির উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দেখা গেছে ৩০ আগস্ট সরকারি ৭ কোম্পানির বাজার মূলধন ছিল ১৮ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। যা ৩ ফেব্রুয়ারি ৫ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকায়।
সংবাদ সম্মেলনের আরও উপস্থিত ছিলেন—ডিএসইর সাবেক পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই নাহরীন মুন্নি, মিনহাজ মান্নান ইমন প্রমুখ।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ