প্রিমিয়ামসহ আসা কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগকারীদের অনীহা বাড়ছে

primiumনিজস্ব প্রতিবেদক :

চলতি বছরে শেয়াবাজারে লেনদেন শুরুর কয়েক মাসের মধ্যেই ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে গেছে প্রিমিয়ামসহ আসা দুই কোম্পানির শেয়ারের দর। আরো দুই কোম্পানির শেয়ার লেনদেনর প্রায় শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে দর কমছে। এসব কারণেই মূল মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। প্রিমিয়ামসহ আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোতে অনীহা জন্ম দিয়েছে এসব ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীরা।

তবে লেনদেনের এতো অল্প সময়ে শেয়ার দর ইস্যু মূল্যের নিচে নামাকে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে দর উঠা-নামার ক্ষেত্রে কোম্পানির কিছু করার নেই। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দ্য পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড ও ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং ইস্যু মূল্যের নিচে শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ফারইস্ট নিটিং গত ২৮ আগস্ট শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু করে। ওই দিন কোম্পানিটি ডিএসইতে ৩৯ টাকা দরে লেনদেন শুরু করে। প্রথমদিন লেনদেন শেষ হয় ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা দরে। কিন্তু গত কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারটি সর্বশেষ ২৭ টাকা দরে লেনদেন হয়। অর্থ্যাৎ গত ৪ মাসে শেয়ারটির দর কমেছে ২১ টাকা ৭০ পয়সা বা ৪৫ শতাংশ।

কোম্পানিটি আইপিওতে ১৭ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৭ টাকা মূল্যে শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এই হিসাবে শেয়ারটি বুধবারে ইস্যু মূল্য থেকে ২০ পয়সা বা দশমিক ৭৪ শতাংশ কম মূল্যে লেনদেন হয়েছে। তবে এর মাঝে ফারইস্ট নিটিং ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ বোনাস ও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ।

অপরদিকে পেনিনসুলা লেনদেনের ৬ মাসের মধ্যে ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে এসেছে। কোম্পানিটি ২০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৩০ মূল্যে শেয়ার ইস্যু করেছিল বাজারে। কিন্তু আজ বুধবার সর্বশেষ শেয়ারটি ২৭ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়। অর্থ্যাৎ ইস্যু মূল্য থেকে শেয়ারটি ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৭ শতাংশ কম দরে লেনদেন হয়েছে।

আর ডিএসইতে এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিনে ৩৪ টাকা দরে লেনদেন শেষ করেছিল। এই হিসাবে শেয়ারটির দর কমেছে ৬ টাকা ১০ পয়সা বা ১৮ শতাংশ। তবে কোম্পানিটি সমাপ্ত অর্থবছরে ১০ শতাশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ বলেন, প্রিমিয়াম নিয়ে আসা শেয়ার এতো তাড়াতাড়ি ইস্যু মূল্যের নিচে আসা ঠিক হয়নি। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উচিৎ হয়নি এ ধরনের কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া।

শেয়ার ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে যাওয়া মানে বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি দুর্ভাগ্য। এ ধরনের শেয়ার থেকে বিনিয়োগকারীদের দূরে থাকার পরামর্শ দেন অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এএআর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *