গত এক মাস ধরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন বন্ধ রেখেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের কাছে এ মুহূর্তে অন্তত ছয়টি কোম্পানির আইপিও অনুমোদন সংক্রান্ত চূড়ান্ত নথি পেশ করা হলেও একটি স্থবির অবস্থা তৈরি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মূলধন মার্কেট অধিশাখা থেকে জারি করা এক চিঠির পরই এক ধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে আইপিও অনুমোদনে কমিশনকে আরও সতর্ক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ২এ(৪) অনুুযায়ী, কমিশন মূল্য (আইপিও ইস্যু মূল্য) নির্ধারণ করবে না। চিঠিতে অন্য এক আইনের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে বলা হয়, কমিশনের মূল উদ্দেশ্য, দায়িত্ব ও কার্যাবলি হচ্ছে সিকিউরিটিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ, সিকিউরিটির যথার্থ ইস্যু নিশ্চিতকরণ ও সিকিউরিটি বা সিকিউরিটি বাজার সম্পর্কিত প্রতারণামূলক ও অসাধু ব্যবসা বন্ধকরণ।
একই সঙ্গে ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, আইপিওর স্থির মূল্য পদ্ধতিতে (ফিক্সড প্রাইস মেথড) প্রিমিয়ামে শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে একাধিক মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতির উল্লেখ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, হঠাৎ এমন চিঠিতে বিব্রত কমিশন। চিঠিটি কমিশনকে পাঠানো হয়নি; বরং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
বিএসইসিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠির প্রসঙ্গে মির্জ্জা আজিজ গনমাধ্যমেক বলেন, এসইসি অধ্যাদেশ ১৯৬৯ অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয় চাইলে কমিশনকে কোনো নির্দেশনা দিতে পারে। তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালে এ ধারাটি তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি। মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বরের চিঠিতে কোনো নির্দেশনা ছিল না।
গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস কোম্পানিকে (বিএসআরএম) ও ১১ নভেম্বর বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় মূল্য নির্ধারণের পর ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনকে আইপিও অনুমতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ গত নভেম্বর থেকে গত আড়াই মাসে মাত্র দুটি আইপিও অনুমোদন হয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এলকে