শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে ব্যাংকগুলো। তাদের বিনিয়োগ ক্রমান্বয়েই কমে যাচ্ছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে শেয়ারবাজার থেকে ব্যাংকের ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যাংকের মোট শেয়ার ধারণ ছিল মূলধনের ৫৯ শতাংশ, যা বাজারমূল্যে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা। গত আগস্টে তা নেমে এসেছে ২৫ হাজার কোটি টাকায়।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, আইনের বাধ্যবাধকতায় কিছু শেয়ার যে দামে কিনেছিল তার চেয়ে কম দামে বিক্রি করা হয়েছে। তবে বেশির ভাগই কমেছে শেয়ারের মূল্য পতনের কারণে।
তারা জানান, সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো লোকসান সমন্বয় করতে বর্তমানে শেয়ারবাজারে নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারছে না।
আবার মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে যে পরিমাণ বিনিয়োগ ছিল শেয়ারবাজারে মন্দার কারণে ওইসব ঋণ দীর্ঘ দিন ধরে আদায় না হওয়ায় তা এখন মন্দ ঋণে পরিণত হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন সংরক্ষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
এ দিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের লোকসানের ঘানি টানতে হিমশিম খাচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংক। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে বেশির ভাগ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে।
ব্যাংকের বিনিয়োগ থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসানের দায় ব্যাংকগুলোকে বহন করতে হচ্ছে। আর লোকসান সমন্বয় করতে ব্যাংকগুলোর নিট লোকসান বেড়ে যাচ্ছে। এতে বছর শেষে লভ্যাংশ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ শেয়ার হোল্ডার।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, আইনের ফাঁদে তারা আটকে গেছেন। কেননা, ব্যাংক ও মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যেসব গ্রাহক বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কিনেছিল, শেয়ারবাজারের দরপতনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় তারা এখন শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। বিক্রি করলে মূলধনের অর্ধেকের বেশি লোকসান দিতে হয়।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/সি