শেয়ারবাজারের অস্থিরতা কাটছে না দীর্ঘদিন। চার বছর আগের ধসের প্রভাব এখনও কাটেনি। এ কারণে মাঝে-মধ্যে কিছু সময়ের জন্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে বেশিরভাগ সময় দরপতনের ধারা বজায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অস্থিতিশীলতা কাটাতে ও বাজারের উন্নয়নের মূল প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাবের (ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজার) নতুন নিয়মের কারণেই শেয়ারবাজারের সংকট কাটছে না বলে মনে করে ডিএসই। নতুন নিয়মে হিসাবের কারণে ব্যাংকের বিনিয়োগ কমে গেছে। লেনদেন আবার তলানিতে নেমে যাওয়ার পেছনে এটিই বড় কারণ বলে মনে করছে প্রধান এ স্টক এক্সচেঞ্জ। এ জন্য স্থিতিশীলতা ফেরাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাবের সংশোধন চায় ডিএসই।
সম্প্রতি শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে প্রধান এ স্টক এক্সচেঞ্জ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাব তৈরিতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পাশাপাশি তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানিতে বিনিয়োগের হিসাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দেশের শেয়ারবাজারে বিকল্প অর্থায়ন প্রক্রিয়া তৈরি না হওয়ায় এখন ব্যাংক ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে বলে মনে করে ডিএসই।
চিঠিতে এটিকে মূল প্রতিবন্ধকতা হিসাবে উল্লেখ করে এর সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সংস্থাটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির সাধারণ শেয়ার ক্রয়ের পাশাপাশি প্রেফারেন্সিয়াল শেয়ার, করপোরেট বন্ড ও ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ করেছে। আবার তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানিতেও বিনিয়োগ করছে। এসব হিসাব বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে নতুন নিয়মে।
অন্যদিকে, চিঠি পাঠানোর বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার বালা জানান, শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাবের কারণে এমনটি হয়েছে বলে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেছেন। তারা এ বিষয়ের সমাধানের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানায়। এ কারণে ডিএসইর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের বার্তাটি বিএসইসির কাছে পাঠানো হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এর সুরাহায় এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এএআর