স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে ২০২৮ সালেই বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে চীন।
শনিবার প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বেশ কিছু বছর ধরেই চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং ক্ষমতার লড়াই চলে আসছে। কিন্তু নোভেল করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক দিক থেকে চীন অনেকটা সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।’
মহামারি করোনার প্রভাবে সারা বিশ্বের অর্থনীতিই চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও চীনের অর্থনীতির উপর খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি কোভিড। আর এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৮ সালেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে আসবে চীন। সম্প্রতি বার্ষিক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে ব্রিটেনের অন্যতম শীর্ষ অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা ‘সেন্টার ফর ইকনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ’। এর আগে, ডিসেম্বরের শুরুতে একই ইঙ্গিত দিয়েছিল জাপানের সেন্টার ফর ইকনমিক রিসার্চ। তারা জানিয়েছিল, ২০২৮ অথবা ‘২৯ সালের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাবে চীন।
শনিবার প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বেশ কিছু বছর ধরেই চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং ক্ষমতার লড়াই চলে আসছে। কিন্তু নোভেল করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক দিক থেকে চীন অনেকটা সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।’
সময়মতো লকডাউন ঘোষণা করে দক্ষ হাতে কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছে বলেই অন্য দেশের তুলনায় চীন তাড়াতাড়ি অতিমারির প্রকোপ কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বলে দাবি করেছে ওই সংস্থা। যার ফলে চিনের অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব পড়েনি। মূলত উহান বাদে দেশটির অন্য প্রদেশেও তেমনভাবে ছড়ায়নি কোভিড। ফলে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণও তেমন ভাবে সঙ্কুচিত হয়নি।
চিনের বর্তমান মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনেও তেমন হেরফের হয়নি কোভিডের ফলে। ওই প্রতিবেদন দাবি করেছে, ২০২০ সালে বিশ্বের সব দেশের অর্থনীতি যখন ঝিমোচ্ছে, তখন চিনের আর্থিক বৃদ্ধি ২ শতাংশ বাড়বে। অন্য দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হবে প্রায় ৫ শতাংশ। এই ফারাকই এগিয়ে দেবে চিনকে।
ওই সংস্থা জানিয়েছে, ২০২১ থেকে ‘২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ৫.৭ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি ঘটবে চীনের অর্থনীতির। ২০২৬ থেকে ‘৩০ পর্যন্ত বৃদ্ধির গতি কিছুটা কমলেও, ওই ৪ বছরে অন্তত ৪.৫ শতাংশ করে বৃদ্ধি ঘটবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, কোভিড সঙ্কট কাটিয়ে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ছন্দে ফিরবে বলে এত দিন মনে করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই মুহূর্তে সে দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে ২০২২ সাল থেকে ‘২৪ পর্যন্ত প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের বৃদ্ধি ১.৯ শতাংশ করে কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আর্থিক শক্তিবৃদ্ধির নিরিখে বিশ্বের অন্যতম দুই ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রের অবস্থান পাল্টালেও, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে জাপানের অবস্থান পাল্টানোর তেমন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের ওই সংস্থা। তবে ২০৩০ সালের শুরুর দিকে তাদের টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে আসতে পারে ভারত। সে ক্ষেত্রে জার্মানি চতুর্থ থেকে পঞ্চম স্থানে চলে আসতে পারে। এই মুহূর্তে বিশ্বতালিকায় ব্রিটেন পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ২০২৪ সাল নাগাদ তারা ষষ্ঠ স্থানে নেমে যেতে পারে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম