লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুমেও বাজারে মন্দা

low indexনিজস্ব প্রতিবেদক :
জুনে হিসাব বছর শেষ হওয়া বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষ থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা আসছে। আর ডিসেম্বরে হিসাব বছর শেষ হওয়া কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে কোম্পানিগুলোর মৌলভিত্তি সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

এদিকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আশঙ্কায় সতর্কতা অবলম্বন করছেন বিনিয়োগকারীদের অনেকে। ফলে শেয়ারবাজারে লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুমেও মন্দা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৫ অক্টোবরের পর ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে ১০ দিনই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বস্ত্র, তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি ও প্রকৌশল খাতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কোম্পানির হিসাব বছর শেষ হয়েছে জুনে। এর মধ্যে অধিকাংশ কোম্পানির লভ্যাংশের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে।

দুর্বল কিছু কোম্পানি অন্যান্য বারের মতো এবারো লভ্যাংশ ঘোষণায় ব্যর্থ। আর জ্বালানি খাতের সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের ঘোষণা চলতি মাসেই দেয়া হবে। তবে বাজারে এসব ঘোষণার তেমন প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া ডিসেম্বরের হিসাব বছর শেষ হওয়া ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমাসহ অন্যান্য খাতের কোম্পানিগুলো তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।

ব্যাংকিং খাতের আর্থিক পরিস্থিতি আগের বছরের চেয়ে কিছুটা উন্নতির দিকে, যার আভাস পাওয়া গেছে। যদিও ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের হার বেড়েই চলেছে।

সার্বিকভাবে এ সময় তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির মৌলভিত্তি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দ্বিধা সৃষ্টি হয়েছে। ঘনঘন বিনিয়োগ পুনর্বিন্যাস এবং স্বল্প সময়ে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা শেয়ারবাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বড় মূলধনি বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের ৪০.০৭ পয়েন্ট কমে ৫০৬৫.১৪ এবং ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ২৪.২৯ পয়েন্ট কমে ১৮৯৩.৭৯ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কেনাবেচা হওয়া বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতনে সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৯১ পয়েন্ট কমে।

এদিকে দরপতনের পাশাপাশি শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণও কমে। এদিন ডিএসইতে শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৮০ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৫১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা কম। সিএসইতে শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয় ৫৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৯ কোটি টাকা কম।

ডিএসইতে লেনদেনকৃত ৩০৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ১৩১টির, কমে ১৪৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩০টির। অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেনকৃত ২২৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ৮১টির, কমে ১৩০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৭টির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *