সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন বৃদ্ধির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেয়ারবাজারের অতিরিক্ত বিনিয়োগ আইনি সীমায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এতে আইনি সীমার মধ্যে থেকেই শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর নতুন করে বিনিয়োগের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে আরো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এসকে সুর চৌধুরী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ১৩টি ব্যাংকের শেয়ারবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় হয়েছে। অতিরিক্ত বিনিয়োগের অংশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের মূলধন বাড়ানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, শেয়ারবাজারের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে এসব ব্যাংক তাদের সাবসিডিয়ারির মূলধন এমনভাবে বাড়িয়েছে যে, তাতে উল্টো বাড়তি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এর পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। সব মিলে আইনি সীমার মধ্যে থেকেই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত আরো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ১৩টি ব্যাংকের এ সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ ছিল। ব্যাংকগুলো যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করে আইনি সীমার নিচে নামিয়ে আনতে পারে, সেজন্য সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে বিনিয়োগ সমন্বয়ের বিকল্প সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২৭ এপ্রিল গভর্নর ফজলে কবির বিকল্প এ ব্যবস্থার অনুমোদন দেন।
এর পর ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে মূলধন বাড়িয়ে বিনিয়োগ সমন্বয়ের অনুমোদন চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করা হয়। ধাপে ধাপে বাংলাদেশ ব্যাংক সেসব আবেদন অনুমোদন করে। ২০১৩ সালে এ ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য ২০১৬ সালের ২১ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। এটি সমন্বয়ের শেষদিন ছিল বৃহস্পতিবার।
শেয়ার বিক্রি ছাড়াই এসব ব্যাংক তাদের বিনিয়োগ আইনি সীমায় নামিয়ে আনার সুযোগ নিয়েছে। বেশির ভাগ ব্যাংক সহযোগী কোম্পানিকে (ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক) দেয়া ঋণকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মূলধন হিসেবে রূপান্তর করে এ শর্ত পূরণ করেছে। এছাড়া অতিরিক্ত বিনিয়োগের অংশ থাকা শেয়ারও বাজারমূল্য বিবেচনায় সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানকে মূলধন হিসেবে দেয়া হয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম