অবশেষে শুরু সুদ কমা। এই পথে রঘুরাম রাজন কতটা সফল হবেন, তা এখনই বলা না-গেলেও বহু প্রতীক্ষার পরে সুদ কমায় বেজায় খুশি শেয়ার বাজার। গত বুধবার এক ধাক্কায় বাজার ওঠে ৭২৯ পয়েন্ট। উত্থান চলে পরের দিনেও। পরিস্থিতি যে-ভাবে বদলাচ্ছে তাতে মনে হয়, ভারতীয় অর্থনীতি এবং শেয়ার বাজারে ‘পৌষ মাস’ এখন চলবে। সূত্র : আনন্দবাজার
ক্ষীণ আশা ছিল, ৩ ফেব্রুয়ারি ঋণনীতি পর্যালোচনার সময়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমালেও কমাতে পারে। কিন্তু এত দিন অপেক্ষা না-করে রাজনের এই চকিত সিদ্ধান্ত বাজার সত্যিই আশা করেনি। অপ্রত্যাশিত এই প্রাপ্তির উচ্ছ্বাস ধরা পড়ে সূচকের বড় উত্থানে।
শুধু শেয়ার বাজারই নয়, সুদের এই সামান্য পতনে সদর্থক স্পন্দন দেখা দিয়েছে গোটা অর্থনীতিতেই। এরই মধ্যে ঋণের উপর সুদ কমানোর কথা ঘোষণা করেছে কয়েকটি ব্যাঙ্ক। অন্যরাও হয়তো করবে চলতি সপ্তাহে। কিস্তির অঙ্ক বা ইএমআই কমবে বাড়ি এবং গাড়ির ঋণে। ফলে প্রাণ ফিরবে এই দুই শিল্পে। লাভবান হবে বড় আকারে ঋণনির্ভর বেশ কিছু কোম্পানি।
সামান্য হলেও সুদ কমার গুরুত্ব বিরাট। ভবিষ্যতে সুদ আরও কমবে এবং এ বারের বাজেট শিল্পায়নে নতুন দিশা দেখাবে, এই আশায় শেয়ার বাজার এখন চাঙ্গাই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রে নতুন সরকার অর্থনীতির উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করায়, সংস্কারের পথে হাঁটার ব্যাপারে দৃঢ়তা দেখানোয় এবং তেলের দাম তলানিতে নামায় চলতি বছরেই অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ধীরে ধীরে যে-পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে বিদেশি লগ্নিতে কোনও ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। আশা, বাজেট মনমতোই হবে। অর্থাৎ শেয়ার বাজারে বুঝেশুনে সুযোগ মতো লগ্নি করা যেতেই পারে, যদিও দাম ও আয়ের অনুপাতকে (পি ই রেশিও) এখন মোটেই সস্তা বলা যায় না। একই কথা বলা চলে মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রেও।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/তরি/এএআর