পুরনো বছরের শেষ এবং নতুন বছরের শুরুটা বেশ ভালই হয়েছে ভারতের শেয়ারবাজারে। বেশ খানিকটা পতনের পরে গত কয়েক দিন ধরে সূচক অনেকটাই চাঙ্গা। অর্থনীতির কিছু পরিসংখ্যান অনুকূলে থাকায় এবং সংস্কারের ব্যাপারে সরকার কয়েকটি পদক্ষেপ করায় লগ্নিকারীরা আবার সওদা করতে বাজারে ফিরেছেন। ফিরতে শুরু করেছেন ডিসেম্বরের শেষে হাত গুটিয়ে নেওয়া বিদেশি লগ্নিকারীরাও।
গত সপ্তাহে ব্যাঙ্কিং সূচক উঠেছে সর্বোচ্চ উচ্চতায়। হারানো জায়গা অনেকটা উদ্ধার করেছে বহু শেয়ার। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও সুদ না-কমালেও আশা, মার্চের মধ্যে সুদ কমানো হতে পারে। সুদ কমলে বাজার আরও চাঙ্গা হবে। সুদ কমার সম্ভাবনা ছাড়াও চলতি আর্থিক বছর শেষ হওয়ার আগেই সূচককে নাড়া বা ‘ট্রিগার’ দেওয়ার মতো বারুদ জমছে বাজারে।
আর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই প্রকাশিত হতে শুরু করবে তৃতীয় ত্রৈমাসিক কোম্পানি ফলাফল। ফল অনুযায়ী কিছুটা ওঠা-নামা করবে শেয়ার সূচক। ফলাফল প্রকাশ শেষ হতে না-হতেই শুরু হয়ে যাবে বাজেট নিয়ে জল্পনা। এ বারের বাজেট থেকে মানুষের আশা অনেক। এই আশায় ভর করে বাজেটের আগেই একটি ছোট ‘বুল র্যা লি’ দেখা যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। অন্য কোনও কারণে ইতিমধ্যে বাজারের যদি পতন না-হয় তবে ফলাফল, বাজেট এবং সুদ কমার সম্ভাবনায় ভর করে মার্চ মাসের মধ্যেই সেনসেক্স প্রথম বারের জন্য পৌঁছে যেতে পারে ৩০ হাজারের কোঠায়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত না-নিলেও বেশির ভাগ ব্যাঙ্ক এরই মধ্যে কিছুটা করে সুদ কমিয়েছে তাদের জমা প্রকল্পগুলির উপর। ফলে কিছুটা হলেও আকর্ষণ কমছে ব্যাঙ্ক আমানতের বিশেষ করে যাঁরা উঁচু করের আওতায় পড়েন, তাঁদের কাছে। অন্য দিকে আশা জাগাচ্ছে শেয়ার বাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের জগৎ। সাধারণ মানুষ এখন খানিকটা ধন্দে, কোন পথে হাঁটবেন।
আয় কিছুটা কম হলেও সুরক্ষাকেই প্রাধান্য দেবেন, না কি বেশি আয়ের লক্ষ্যে কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে তহবিলের একাংশ শেয়ার বাজারে ঢালবেন। মনে রাখতে হবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঋণপত্র নির্ভর প্রকল্পেরও ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল। এখানে স্থির আয়ের প্রতিশ্রুতি আছে। ঝুঁকি নামমাত্র। মূলধনী লাভের সম্ভাবনা যথেষ্ট। অর্থাৎ লগ্নির তালিকায় রাখতে হবে বন্ড ফান্ড এবং ইনকাম ফান্ডকেও।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/তরি/এএআর