সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এজিএম নিয়ে দ্বন্দ্ব

siblস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডা. মো. রেজাউল হক ও পরিচালক নাসির উদ্দিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। ইতোমধ্যে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে (৩০ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে লিখিত অভিযোগ করেছেন নাসির উদ্দিন।

এজিএম ও ব্যাংকের শেয়ার ধারণ নিয়ে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ১২ মে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক নাসির উদ্দিন অভিযোগ করেন, ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা ৩০ মার্চ, ২০১৫ তারিখে সাভার গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাস্থল ঢাকা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত হওয়ায় সাধারণ শেয়ার হোল্ডারগণ সভায় উপস্থিত হতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান বাস ভাড়া করে তার নিজস্ব লোকজন নিয়ে সাধারণ সভায় যোগদান করে বিভিন্ন এজেন্ডা পাশ করিয়ে নিয়েছেন।

তিনি উল্লেখ করেন, বার্ষিক সাধারণ সভায় এজেন্ডা অনুসারে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি এবং এজেন্ডা শেষে কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি। উক্ত বার্ষিক সাধারণ সভার পর এই পর্যন্ত আরও চারটি পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হলেও নাসির উদ্দিনকে পর্ষদ সভার নোটিশ দেওয়া হয়নি।

একারণে শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের অনিয়ম তদন্তের অনুরোধ জানান।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ডা. মো. রেজাউল হককে (অব) সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ডেড লাইনের পরে শেয়ার কেনার কারণে পরিচালক হিসাবে অবৈধ ঘোষণা করেছে।

অপর চারজন পরিচালক মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর (অব), মো. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মুহিত এবং আব্দুর রহমানের ব্যাংকটিতে কোনো শেয়ার না থাকা সত্ত্বেও বর্তমান চেয়ারম্যান অবৈধভাবে তাদের পরিচালক বানিয়েছেন। এ ছাড়া আরেক পরিচালক জনাব আমিন উদ্দিন ডেডলাইনের পর শেয়ার ক্রয় করে ব্যাংকের পরিচালক হয়েছে মর্মে অভিযোগ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ৩০ মার্চ ২০১৫ তারিখের বার্ষিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানিয়েছে, ‘উক্ত সভায় জনাব আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন পর্যায়ক্রমিকভাবে এক-তৃতীয়াংশ পরিচালক পদত্যাগ করার পর আবার নির্বাচিত হতে সক্ষম হননি।

এমনকি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন বর্তমানে নিজেকে পরিচালক হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন যা একটি অনিয়ম। যেহেতু তিনি পরিচালক নন সেহেতু তাকে পর্ষদ সভার নোটিশ প্রদান করার কথাও নয়।

এই বিষয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। এই কারণে ন্যায় বিচার পেতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে অভিযোগ করেছি। অন্যদিকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডা. মো. রেজাউল হক কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে আমাদের কাছে একটা চিঠি এসেছে। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *