অনিয়মের কারণে ৩ কোম্পানির পরিচালকদের আর্থিক জরিমানা

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

বিভিন্ন অনিয়মের কারণে শেয়ারবাজারের ৩ কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডের স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতিত প্রত্যেক পরিচালককে  জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১ কোম্পানিকে সতর্কপত্র ইস্যু ও ২ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬০৮তম নিয়মিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো. সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হল- বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস, ফু-ওয়াং ফুড, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস, এ. মতিন অ্যান্ড কোং ও শফিক বসাক অ্যান্ড কোং।

এরমধ্যে বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস ও ফু-ওয়াং ফুডের পরিচালকদের (স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতিত) ১ লাখ টাকা করে ও প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলসের পরিচালকদের (স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতিত) ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আর রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সকে সতর্কপত্র ইস্যু করা হবে। এ ছাড়া নিরীক্ষক এ. মতিন অ্যান্ড কোং ও শফিক বসাক অ্যান্ড কোং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশকে (আইসিএবি) অবহিত করা হবে।

বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস : কোম্পানিটি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিলে ব্যর্থ হয়েছে। এতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর ধারা ১২ এর লঙ্ঘন করেছে কোম্পানিটি। এছাড়া কোম্পানিটি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সময়ে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সময়ে সমাপ্ত অর্ধবার্ষিক এবং ৩১ মার্চ ২০১৫ সময়ে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন দাখিলেও ব্যর্থ হয়েছে। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর ধারা ১৩ লঙ্ঘন করেছে কোম্পানিটি। এতে কোম্পানিটির পরিচালকদের (স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতিত) ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

ফু-ওয়াংফুড : অধীনস্থ কোম্পানি থাকা সত্ত্বেও ২০১৩-১৪ অর্থবছর সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি না করেনি। এতে কোম্পানিটি বাংলাদেশ হিসাব মান (বিএএস)-২৭ ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭ এর রুলস ১২ (২) ভঙ্গ করেছে। এ ছাড়া সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে অগ্রিম হিসাবে প্রদত্ত ২ কোটি ৫৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ৩০ জুন ২০১৪ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক বিররণীতে দেখালেও প্রয়োজনীয় তথ্য দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি। আবার ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেস হিসাবে ৩০ জুন ২০১৪ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক বিররণীতে ২ কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৪০ টাকা এবং ৩০ জুন ২০১৩ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক বিররণীতে ৩ কোটি ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯২২ টাকা ক্যাশ ফ্লোতে বিবরণীতে দেখালেও তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি। এতে কোম্পানিটির পরিচালকদের (স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতিত) ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *