আইপিওর অর্থ দিয়ে বেশি ঋণ পরিশোধ না করার নির্দেশ

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

আইপিও থেকে সংগৃহীত অর্থ থেকে কোম্পানিগুলো এক-তৃতীয়াংশের বেশি ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করতে পারবে না। গতকাল এক প্রজ্ঞাপনে এমন নির্দেশনা দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিএসইসি।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মূলধন বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনুমোদন ছাড়া কোনো কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালক, কর্মকর্তা ও এজেন্ট কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে শেয়ার বাবদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে এ অনুমোদন লাগবে না।

সূত্র থেকে আরো জানা যায়, শেয়ার বাবদ সংগৃহীত সব আমানত আলাদা ব্যাংক হিসাবে রাখতে হবে। এছাড়া ৫ লাখের বড় অঙ্ক হলে তা অ্যাকাউন্ট-পে চেকের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোর সংগৃহীত অর্থ ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও আইপিওর স্বল্প সময়ের মধ্যে রাইট শেয়ার ছাড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি নতুন এ আইন প্রণয়ন করছে।

বছরখানেক আগে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তা ব্যাংকঋণ পরিশোধে ব্যয় করে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, মোজাফফর হুসাইন স্পিনিং মিলস ও সেন্ট্রাল ফার্মা। সম্প্রতি এ তিন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে রাইট শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

শেয়ারবাজারে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম ১ কোটি ৪০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। প্রতিষ্ঠানটির মোট ব্যাংকঋণের পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আইপিও থেকে সংগৃহীত অর্থ থেকে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যাংকঋণ পরিশোধে ব্যয় করে কোম্পানিটি। তবে আইপিও থেকে অর্থ সংগ্রহের এক বছরের মধ্যে পুনরায় অর্থ সংগ্রহের প্রস্তাব দেয় কোম্পানিটি।

ওষুধ খাতের সেন্ট্রাল ফার্মা শেয়ার ছেড়ে ১৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সে সময়ে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের প্রায় পুরোটাই ব্যাংকঋণ পরিশোধে ব্যয় করে কোম্পানিটি। অথচ তালিকাভুক্তির দেড় বছরের মধ্যেই আবারো ব্যাংকঋণ পরিশোধের জন্য অর্থ সংগ্রহের প্রস্তাব দেয় কোম্পানিটি।

স্টকমার্কিটবিডি.কম/এম/এএআর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *