নির্দিষ্ট মূল্য পদ্ধতি বা বুক বিল্ডিং-আইপিওর উভয় ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এখন থেকে এককভাবে সংশ্লিষ্ট কোটার সর্বোচ্চ দুই শতাংশের বেশি শেয়ার পাওয়ার আবেদন করতে পারবে না। প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও বিধিমালার সংশোধন প্রস্তাবে এমন বিধান রাখা হয়েছে। এ মঙ্গলবার বিধিমালার চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসির পরিচালক রিপন কুমার দেবনাথ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, এখন থেকে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় কোনো কোম্পানি মূলধন উত্তোলন করতে চাইলে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার মূলধন তুলতে হবে। এছাড়া পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার কম হলে কোনো কোম্পানি এ প্রক্রিয়ায় মূলধন উত্তোলন করতে পারবে না। আগের আইনে পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা হলেই বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় মূলধন সংগ্রহ করতে পারত।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চূড়ান্ত অনুমোদনের ক্ষেত্রে আইপিও বিধিমালার সংশোধন প্রস্তাবের কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো_ নির্দিষ্ট মূল্য পদ্ধতিতে আইপিও আবেদনের পূর্ববর্তী দুই বছরে কর-পরবর্তী নিট মুনাফায় এবং নিট পরিচালন অর্থপ্রবাহে (ক্যাশ-ফ্লো) প্রবৃদ্ধি থাকার বাধ্যতামূলক ছিল। এখন তা সর্বশেষ বছরে প্রবৃদ্ধি থাকলেই চলবে। এছাড়া এ পদ্ধতিতে শেয়ার পেতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরও স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/