মূলধনের আনুপাতিক হারে ব্যাংকটি একজন গ্রাহককে ৬০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দিতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা ভঙ্গ করে তারা ১৬৫ কোটি টাকা একজন গ্রাহককে ঋণ দিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর অবস্থানে এ অনিয়ম থেকে ফিরে আসে ব্যাংকটি। রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স পাওয়া নতুন ৯ ব্যাংকের একটির সম্পর্কে এ তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র।
জানা গেছে, চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট ও আগে থেকে চলে আসা বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অবকাঠামো সুবিধার অভাবে বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটছে না। এ পরিস্থিতিতে বেশি বেকায়দায় পড়েছে নতুন লাইসেন্স পাওয়া নতুন ব্যাংকগুলো।
আমানত পেতে হলে পুরনোদের চেয়ে বেশি সুদ বা মুনাফা গুনতে হচ্ছে। এ কারণে এ ব্যাংকগুলোর তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয়ও বেশি। এ পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য কেউ কেউ আগ্রাসী বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে।
এ বিষয়ে ব্যাংকারদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) প্রেসিডেন্ট ও ইস্টার্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার জানান, বর্তমান বিনিয়োগ স্থবিরতার মধ্যে সবাই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে নতুন ব্যাংকগুলোতে এ সমস্যা বেশি। কেননা, বর্তমানে ভালো গ্রাহকের খুবই অভাব। ভালো গ্রাহক পেতে নতুন ব্যাংকগুলো পুরনোদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।
তবে, এবিবির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও মেঘনা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও এমডি মো: নূরুল আমিন সাংবাদিককে বলেন, নতুন ব্যাংকগুলো ভালো গ্রাহক পাচ্ছে না, তা পুরোপুরি ঠিক নয়। নতুন ব্যাংকগুলোর চলমান পরিস্থিতিতে বেশি কাজ করছে বিভিন্ন সরকারি প্রজক্টে। সরকারের বিভিন্ন অবকাঠামো খাতে নতুন ব্যাংকগুলো অন্য ব্যাংকের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করতে পারছে। পুরনো ব্যাংকগুলো থেকেও অনেক গ্রাহক নতুন ব্যাংকগুলোতে আসছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড/এএআর