আরও আধুনিকায়ন হচ্ছে ডিএসইর লেনদেন

dseনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারের লেনদেন আরও নির্বিঘ্ন এবং বিনিয়োগকারীবান্ধব করতে আধুনিক নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা প্রচলন করতে যাচ্ছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। উন্নত বিশ্ব, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নানা দেশের স্টক এক্সচেঞ্জের আদলে নতুন এ ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়।

নতুন লেনদেন ব্যবস্থাটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ নাসডাকের সহযোগী কোম্পানি নাসডাক ওএমএক্সের ট্রেডিং সিস্টেম, অন্যদিকে শেয়ার লেনদেনে ক্রয় ও বিক্রয় আদেশ ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহার করা হবে বিশ্বখ্যাত ফ্লেক্সট্রেড সিস্টেমস। নতুন এ ব্যবস্থা চালু করতে ডিএসইর খরচ হচ্ছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, আগামী ২২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এ লেনদেন ব্যবস্থা চালুর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তার আগেই এটি চালু করা যাবে বলে জানিয়েছেন স্টক এক্সচেঞ্জটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। নতুন লেনদেন ব্যবস্থা হবে বিদ্যমান এমএসএর প্লাসকেন্দ্রিক লেনদেন ব্যবস্থা থেকে আরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমৃদ্ধ।

এপ্রসেঙ্গ ডিএসইর এমডি স্বপন কুমার বালা বলেন, নাসডাক ওএমএক্স এবং ফ্লেক্সট্রেডভিত্তিক শেয়ার লেনদেন ব্যবস্থাকে এ মুহূর্তে বিশ্বসেরা বলা হয়। যা বর্তমান সময়ের সর্বাধুনিক ও জুতসই প্রযুক্তি। ফলে ব্যবহারকারী (ব্রোকার এবং বিনিয়োগকারী) পর্যায়ে এই লেনদেন ব্যবস্থা হবে বিদ্যমান ব্যবস্থার তুলনায় অনেক সহজ এবং নিরাপদ।

তবে নতুন ব্যবস্থায় কোনো বিনিয়োগকারী নিজ ব্রোকারেজ হাউসের যে কোনো অথরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ (বিনিয়োগকারীদের ভাষায় ট্রেডার) বা শাখা থেকে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন না। প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর জন্য একটি ব্রোকারেজ শাখা ও একজন বা একটি গ্রুপভুক্ত অথরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ নির্দিষ্ট থাকবে।

কোনো বিনিয়োগকারীকে ওই নির্দিষ্ট ব্রোকারেজ হাউস এবং নির্দিষ্ট বা গ্রুপভুক্ত অথরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভের মাধ্যমে শেয়ার কেনা বা বেচার অর্ডার দিতে হবে। বর্তমানে কোনো বিনিয়োগকারী নিজ ব্রোকারেজ হাউসের যে কোনো শাখা ও অথরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দিতে পারেন।

লেনদেন ও বিনিয়োগকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে এ নিয়ম করা হচ্ছে। এখনকার লেনদেন ব্যবস্থায় যে কোনো অথরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজের যে কোনো বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও দেখতে পারেন। এতে বিনিয়োগকারীর ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া ভুল বা ইচ্ছাকৃতভাবে অর্ডার না থাকা সত্ত্বেও কারও শেয়ার বিক্রি করে দিতে পারে বা নতুন শেয়ার কিনতে পারে। এমন অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। নতুন ব্যবস্থায় এমন সমস্যা দূর করা যাবে।

ডিএসই কর্মকর্তারা জানান, নতুন লেনদেন ব্যবস্থায় একদিনে বিপুল পরিমাণ শেয়ার লেনদেন করার ক্ষমতা থাকায় মার্কেট লট বলে কিছু থাকবে না। অর্থাৎ আইপিওতে শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে লট (নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ার) থাকলেও সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেতা বা বিক্রেতা পূর্ণ সংখ্যার যে কোনো পরিমাণ শেয়ার কিনতে বা বিক্রি করতে পারবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এলকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *