আসন্ন জাতীয় বাজেটে সিএসই এর ৫টি প্রত্যাশা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আসন্ন জাতীয় বাজেটে শেয়ারবাজারকে সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীলতা আনয়নে চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ৫টি প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে।

আজ বুধবার (২ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিসিএসই এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম আসন্ন বাজেট নিয়ে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর ব্যাপারে মোট ৫টি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন:

১। কর্পোরেট করহারের পুনর্বিন্যাস:

তালিকাভুক্ত কোম্পানীসমূহের জন্য বিদ্যমান কর হার ২৫% থেকে কমিয়ে ২০% করা যেতে পারে।তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানীর মধ্যকার করহারের পার্থক্য বৃদ্ধি পেলে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানী তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে যা শেয়ারবাজারকে সমৃদ্ধ করবে এবং স্বচ্ছ কর্পোরেট রিপোর্টিং এর মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

২। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানীসমূহের জন্য কর রেয়াতের সময়সীমা বৃদ্ধিকরণ:

নূন্যতম ২০% শেয়ার IPO- এর মাধ্যমে হস্তান্তর করলে আয়কর রেয়াত লাভের বিদ্যমান সু্যোগ শর্ত সাপেক্ষে নিন্মোক্তভাবে তিন বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে:

তালিকা ভুক্তির বছর ১০% এর পরের ২য় ও ৩য় বছর ৫% হারে কর রেয়াত করা যেতে পারে। কর রেয়াতের বছর সমূহে “A” category বজায় রাখতে হবে।

অনেক বিধি বিধান পরিপালন করে তালিকাভূক্ত হয়। কর রেয়াতের কারণে অতালিকাভূক্ত কোম্পানিসমূহ তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে। এতে শেয়ারবাজারে গুণগত মানসম্পন্ন শেয়ারের যোগান বাড়বে যা বাজারে লেনদেন বৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা আনয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। যা GDP তে শেয়ারবাজারের অবদানকে আরো বৃদ্ধি করবে।

৩। SME কোম্পানী সমূহের জন্য নতুন কর হার নির্ধারণ:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে SME কোম্পানীসমূহের জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ার বছর থেকে ৫ বছরের জন্যে ১০% হারে কর নির্ধারণ করা যেতে পারে।

সাধারণত স্বম্পমূলধনী কোম্পানী সমূহ প্রাইভেট লিমিটেড হিসেবে নিবন্ধিত হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট কাঠামো দুর্বল হওয়াতে সরকারের তেমন কোন রাজস্ব আদায় হয় না। পুঁজিবাজারের SME বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী তালিকাভুক্ত হলে অধিক সংখ্যক কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হবে।

৪। ব্যাক্তি শ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা বৃদ্ধিকরণ :

করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা থেকে ২,০০,০০০ টাকাতে নির্ধারণ করা যেতে পারে।

৫। তালিকা ভূক্ত / অতালিকাভূক্ত বন্ডের সুদ আয়ের উপর কর অব্যাহতি :

বর্তমানে শুধুমাত্র জিরো কূপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয় ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাতিরেকে করমুক্ত। দেশের অর্থনীতির আকার এবং ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতার প্রেক্ষিতে একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট তৈরি করা অতি জরুরী। এই পদক্ষেপ শেয়ারবাজারের পাশাপাশি আর্থিক খাতেও শৃঙ্খলা আনয়ন করতে পারে। সে কারণে নতুন ভাবে একটি বন্ড মার্কেট তৈরি করার লক্ষ্যে সকল প্রকার বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয় কে কর মুক্ত করা প্রয়োজন এবং জিরো কূপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয়ের করমুক্ত সুবিধা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহ সকল করদাতাকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *