ইউনিক গ্রুপের নূর আলী ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক মামলায় ইউনিক গ্রুপেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর আলী এবং তার স্ত্রী সেলিনা আলীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালতের সমনে হাজির না হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর সোমবার পরোয়ানা জারির এ আদেশ দেন বলে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারুকুর রহমান জানান।

ঢাকার পরীবাগে নূর আলীর বোরাক রিয়েল এস্টেটের বানানো ইউনিক হাইটসের একটি ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিরোধের জেরে গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেন জালাল আহমেদ স্পিনিং মিল ও শাহ ফতেউল্লাহ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ।

মামলার নথির বরাত দিয়ে ফারুকুর রহমান বলেন, “ফ্লোর স্পেস বিক্রি বাবদে বাদীর কাছ থেকে ২ কোটি ৯২ লাখ ৮২ হাজার টাকা গ্রহণ করেন আসামিরা। ২০১৫ সালে ওই ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে বাদীকে বার বার ঘোরাতে থাকেন। এ কারণে মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।”

এই আইনজীবী বলেন, গতবছর যখন আদালতে মামলা করা হয়, তখন নূর আলী, তার স্ত্রীসহ ৭ জনকে আসামি করার আর্জি জানানো হয়েছিল।

“মামলা হওয়ার পর বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করতে দিয়েছিলেন। ৫ জনকে অব্যহাতি দিয়ে নূর আলী ও সেলিনার বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ে।”

গত ১৬ সেপ্টেম্বরে সে প্রতিবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারক মামলাটি আমলে নেন এবং আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আসামিদের নামে সমন পাঠান।

কিন্তু তারা হাজির না হলে গত ২৭ অক্টোবর সমন জারিকারকের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন রাখেন বিচারক।

সোমবার সমন জারিকারক মো.হানিফুর রহমান মজনুর উপস্থিতিতে শুনানির পর বিচারক আদেশে বলেন, “সমন বোরাক ভবনের প্রবেশ পথে জারি হয়েছে। আসামিরা আদালতে হাজির হন নাই। এ অবস্থায় বাদীপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করা হল। আসামিদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হল।”

আসামিরা আদালতে হাজির না থাকলেও তাদের আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি গাজী মো. শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে নূর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা সাজানো মামলা‌। সরকারি জায়গা ইজারা নিয়ে ভবনটি করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ইজারা নেওয়ার সময় থেকে ৩০ বছরের মধ্যে নিবন্ধন না করলে ৩০ শতাংশ বেশি টাকা দিতে হয়। এটা নিয়েই ঝামেলা তৈরি হয়েছে‌।

“তারা ফ্ল্যাটের পজিশন নিয়েছে, সেটা ভোগ করছে। কিন্তু সময় মত এর রেজিস্ট্রেশন করেনি। ওই প্রকল্পে আরো ফ্ল্যাট গ্রহীতা আছেন, তাদের ফ্ল্যাট সময়মতো নিবন্ধন করা হয়েছে। তারা তাড়াতাড়ি করেছেন বলেই অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। এই অতিরিক্ত টাকাটা তারা আমাদের দিতে বলছেন। কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের টাকা তো আমার দেওয়ার কথা না।”

নূর আলী বলেন, “আমরা আদালতের নির্দেশনা জেনেছি। এখন আদালতে জামিন নেব, বিষয়টি আইনগতভাবেই মোকাবেলা করব।”
সূত্র : বিডি নিউজ২৪

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *