ইমাম বাটনকে নিরীক্ষকের সতর্কবার্তা

imamনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ইমাম বাটন চলমান সংকট কাটাতে না পারলে এ কোম্পানিটির কার্যক্রম ভবিষ্যতে ধাক্কা খেতে পারে। ইমাম বাটন সম্পর্কে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান।

ডিএসইতে প্রকাশিত নিরীক্ষকের মতামত অনুযায়ী, কোম্পানিটির উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে। চলতি বছরের ৩০ জুন সমাপ্ত আর্থিক বছরে কোম্পানিটি তাদের উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ২১ শতাংশ ব্যবহার করতে পেরেছে। উৎপাদন যন্ত্রপাতির কারিগরি সমস্যা, পণ্যের বাজার চাহিদা ও ক্রমাগত বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণেই মূলত বছরজুড়ে এটির উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে গতকাল সোমবার কোম্পানিটি সম্পর্কে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান আনিসুর রহমান অ্যান্ড কোম্পানির এ পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করা হয়েছে।
নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ অবস্থায় কোম্পানিটি টেকসই করতে হলে এটির উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যবহার করতে হবে। নিরীক্ষকের হিসাবে কোম্পানিটির বর্তমান পরিচালন ক্ষতি বা লোকসানের পরিমাণ প্রায় এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির অবকাঠামোগত ও পরিচালন সমস্যার সমাধান এবং আর্থিক অবস্থা ও উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো না হলে ভবিষ্যতে এটির চলমান কার্যক্রম ধাক্কা খেতে বা অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে।

বোতাম উৎপাদনকারী এ কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১১ সাল থেকে কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি। এ কারণে নিয়ম অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটিকে দুর্বল মৌলভিত্তির ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করেছে।

সাত কোটি ৭০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির মোট শেয়ারের সংখ্যা ৭৭ লাখ। যার মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ শেয়ারই রয়েছে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৫ শতাংশ শেয়ার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এএআর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *