দেশে ঋণ পরিশোধের দায়বন্ধতা বড় দুর্বল : মির্জা আজিজ

06-2নিজস্ব প্রতিবেদক :

আমাদের দেশে ঋণ পরিশোধের দায়বন্ধতার বড় দুর্বলতা রয়েছে। ঋণ গ্রহীতাদের মধ্যে ঋণ নেওয়োর ক্ষেত্রে যতটা আন্তরিকতা আছে পরিশোধের ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্ট ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম।

শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা’ শীর্ষক রাউন্ড টেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ঋণ যারা দিচ্ছেন তাদের উচিত কাকে ঋণ দিচ্ছে, ঋণের উদ্দেশ্য কি, যে কোম্পানিকে দিচ্ছে তার অবস্থা কেমন তা যাচাই করা এবং ঋণ নেওয়ার পর তা সঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে কিনা- তা নিয়মিত তদারকি করা। তিনি বলেন, কর্পোরেট গভার্ণেন্স বাস্তবায়ন করতে হলে সমাজের সব স্থানে কর্পোরেট গভার্ণেন্স নিশ্চিত করতে হবে।

মির্জা আজিজুল ইসলাম আরো বলেন, আমাদের দেশে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্বলতা রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে তদারকি সেটি সঠিক সময়ে হয় না। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতিরও ঘটনা ঘটে।’

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার আরিফ খান, কো-গভার্ণেন্সের অধীনে আমরা নানা প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছি। মালিকরা যাকে নিজের মানুষ মনে করছেন তাকেই স্বাধীন পরিচালক করছেন। ভবিষ্যতে স্বাধীন পরিচালকেদের ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা করা হবে।

তিনি বলেন, শতভাগ কোম্পানির কর্পোরেট গভর্নন্স আছে কি না তা আমাদের পক্ষে দেখা (স্ক্যান) সম্ভব না। কিছু কিছু কোম্পানির শাস্তি দিয়ে আমরা বাকিদের সতর্ক করে দিচ্ছে। এছাড়া ফিন্যান্সিয়াল রিপোটিং অ্যাক্ট পাশ হলে সবকিছু জবাবদিহীতার মধ্যে চলে আসবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, কোম্পানি ভাল হলে শেয়ারবাজার ভাল হবে। এখনো ৯০ শতাংশ কোম্পানি আওতাভূক্তের বাইরে। আমরা ভাল কোম্পানিগুলোকে তালিকাভূক্ত করতে চাই। যদি সবাইকে একটা আইনের মধ্যে আনতে পারি, তাহলে ভাল হয়।

তিনি আরো বলেন, কোম্পানিকে ভালভাবে চালাতে হলে কোম্পানির ভাল ম্যানেজমেন্ট দরকার। এ জন্য কো-গভার্ণেন্স ইস্যুতে অনেক কিঝু করা হয়েছে। শুধু লিস্টেড কোম্পানিগুলোর উপর চাপিয়ে দিলে হবেনা। অন্য বিষয়গুলোর দিকেও তাকাতে হবে। কোম্পানি ভাল চললে বিনিয়োগকারীর অভাব হয়না। না চললে বিনিয়োগকারী থাকেনা।

বিএসইসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়েকুজ্জামান বলেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ কোম্পানি পারিবারিক। ফলে এই কোম্পানিগুলো প্রাতিষ্ঠানকি সুশাসন মেনে নিতে চায় না। স্বাধীন পরিচালককে সহজভাবে নিতে চায় না। স্বাধীন পরিচালকদের অনেকে বোঝা মনে করেন।

মার্চেন্ট ব্যাংক এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও শেয়ার মার্কেট টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (এসটিজেএ) উদ্যোগে ও বিএমবিএ’র সভাপতি তানজিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মীর নাসির হোসাইন, এইমস অব বাংলাদেশ লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ইওয়ার সাঈদ এবং বিএমবিএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামানসহ আরো অনেকে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এআর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *