এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিও লটারি ড্র অনলাইনে

EXPRESSস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিও লটারি অনলাইনে করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

আজ বিএসইসির ৭৩২তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

সূত্র মতে, কোম্পানিটির আইপিওর লটারি ব্যুরো ফর রিসার্চ টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশন (বিআরটিসি), বুয়েটের তদারকিতে সম্পন্ন করে যেকোন একটি স্বীকৃত এবং সনদপ্রাপ্ত ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে আবেদনকারীদের নিকট সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করবে।

এক্সপ্রেস ইন্স্যূরেন্স লিমিটেডের আইপিও আবেদন জমা পড়েছে ১৬০ কোটি টাকার উপরে। যা আইপিও চাহিদার চেয়ে ৬গুণ বেশি।

চাহিদার চেয়ে আইপিও আবেদন বেশি জমা পড়ায় লটারীর মাধ্যমে শেয়ার বন্টন করা হবে। লটারির তারিখ পরে জানানো হবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এক্সপ্রেস ইন্স্যূরেন্স লিমিটেডের এমডি মো: সাইদুর রহমান স্টকমার্কেটবিডিকে বলেন, আইপিও লটারির জন্য আগামী ২৩ জুলাই দিন নির্ধারণ করে বিএসইসিতে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ও কোম্পানির প্রস্তুতি সাপেক্ষে এই দিন অনলাইনে এই লটারি করা হবে।

এই করোনা দুর্যোগের মধ্যে আইপিও পক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য তিনি বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই, আইডিআরএ, সিডিবিএল, ট্রেক হোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান। এই প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ও সাংবাদিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা প্রদান করেন।

বিমাটির আইপিও শেয়ারের জন্য আবেদন জমা শেষ হয় গত ২ জুলাই। এর আগে ২০ জুন বা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আবেদন গ্রহণের কথা থাকলে পরে এই সময় বাড়িয়ে ২ জুলাই করা হয়।

প্রথমবার গত ১৩ হতে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই আইপিও আবেদন জমা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকারী ছুটি ঘোষণা করায় এই আবেদন কার্যক্রমকে স্থগিত করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

পরবর্তীতে গত ১৪ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এই আইপিও আবেদনের সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বিমাটির আবেদনের প্রেক্ষিতে আইপিও আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২ জুলাই পর্যন্ত করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সূত্রে জানা যায়, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স শেয়ারবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটি ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে শেয়ার ইস্যু করবে।

প্রতিটি আবেদনের সাথে এক লট বা ৫০০ শেয়ার মূল্য তথা ৫০০০ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে। আবেদন জমার পরে লটারির মাধ্যমে বিজয়ীদের এই শেয়ার প্রদান করা হবে। বাকিদের টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিফান্ড করা হবে।

বিমাটি এসব উত্তোলিত অর্থ দিয়ে ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪২ টাকা এবং পুনমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৭২ টাকায়। যা পুনমূল্যায়ন ছাড়া ১৬.৬৫ টাকা।

বিমাটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিও’র মাধ্যমে উত্তোলিত মূলধনের ২০% অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিএসইসি কমিশনের ৭১৯তম নিয়মিত সভায় এ আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/সি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *