গার্মেন্টসহ দেশের সকল কল-কারখানায় দুই মাসের মধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং বা বেবি কেয়ার কর্নার করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
শ্রম সচিব ও শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট মামলায় সম্পূরক এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সরকার পরিচালিত-নিয়ন্ত্রিত বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, হাসপাতাল, শপিং মল, বিমানবন্দর, বাস স্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশনের মত জনসমাগমস্থলে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ স্থাপনের পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে গতবছর একটি রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট।
“রুল জারির পর সম্প্রতি রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্টেশন, বিমানবন্দরে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের কাজ চলছে। কিন্তু গার্মেন্টসহ দেশের কলকারখানাগুলোতে এ ব্যপারে তেমন কোনো অগ্রগতি আমরা দেখছি না। অথচ গার্মেন্ট সেক্টরে কাজ করা নারী কর্মীদের অধিকাংশের বয়স ১৭ থেকে ৩১ বছর। তাদের বেশির ভাগেরই শিশু সন্তান রয়েছে।
“তাছাড়া গার্মন্টস, কলকারখানায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার বা বেবি কেয়ার স্থাপনের বিষয়ে নীতিমালাও রয়েছে, আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। এ নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারপরও কাজ হচ্ছে না। ফলে সম্পূরক আবেদন করে নির্দশনা চেয়েছিলাম।”
সেই আবেদনের শুনানি করে হাই কোর্ট গার্মেন্টসহ দেশের সব কল-কারখানায় দুই মাসের মধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার করার নির্দেশ দিয়েছে বলে ইশরাত হাসান জানান।
নয় মাস বয়সী এক শিশু ও তার মায়ের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছর ২৭ অক্টোবর ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন প্রশ্নে ওই রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড