কারখানা মালিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বিজিএমইএর সভাপতি

bgmeaবিশেষ প্রতিবেদক :

ঈদের আগে পোশাকশ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে দু-চারটি কারখানা কর্তৃপক্ষকে মেশিন বিক্রি করতে হয়েছে। এ জন্য পোশাক কারখানার মালিকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত অধিকাংশ কারখানায় চলতি মাসের আংশিক কিংবা পূর্ণ বেতন পরিশোধ হয়েছে। শতভাগ কারখানা ঈদ বোনাস দিয়েছে। দু-চারটি ক্ষেত্রে বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য কিছু মেশিনারিজ (যন্ত্রপাতি) বিক্রি করতে হয়েছে। এ জন্য মালিকদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি।’

বিজিএমইএর সভাপতি আরও বলেন, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে কখনো কখনো শক্ত পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। কারণ, বিজিএমইএর সদস্য ৩ হাজার ২০০ কারখানার মধ্যে দু-চারটির সমস্যার জন্য পুরো পোশাক খাতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পোশাকশিল্প খাতের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি এস এম মান্নান, মোহাম্মদ নাছির, ফেরদৌস পারভেজ বিভন প্রমুখ।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পোশাকশিল্পের অনেক কারখানা মালিক ২০ থেকে ২৫ বছর কারখানার চালানোর পর অবকাঠামো, রাজনীতি বা নিজের ব্যর্থতার কারণে রুগ্‌ণ হয়ে পড়েছেন। কারখানা চালাতে পারছেন না। তাঁদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি এক্সিট পলিসি বা ব্যবসা থেকে প্রস্থানের নীতিমালা করা দরকার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিজিএমইএর সভাপতি।

সংগঠনটির সভাপতি আরও বলেন, ‘ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে সমস্যা করতে পারে—এমন ৮০০ কারখানা আমরা নজরদারির মধ্যে রেখেছিলাম। এর মধ্যে ৪০টি কারখানার কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ৪৫ হাজার শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিজিএমইএ। এসব ক্ষেত্রে সমস্যার ধরন অনুসারে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে, মালিকের সম্পত্তি, সোনার অলংকার ও জমিজমা বিক্রি এবং কারখানার মেশিন ও জেনারেটর বিক্রি করে শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে।’

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের জানামতে, বিজিএমইএর শতভাগ কারখানা উৎসব ভাতা দিয়েছে। গত মাসের (জুলাই) বেতন-ওভারটাইম পরিশোধ হয়েছে। চলতি আগস্ট মাসের আংশিক বা পূর্ণ বেতন অগ্রিম হিসেবে দিয়ে দিয়েছে অধিকাংশ কারখানা।’

সরকারের নির্দেশনা অনুসারে মহাসড়কে যানজট কমানোর জন্য গত কয়েক ঈদের মতো এবারও পর্যায়ক্রমে পোশাক কারখানায় ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিজিএমইএর সভাপতি। তিনি বলেন, কিছু কারখানা গত মঙ্গলবার ও কিছু কারখানা গতকাল বুধবার ছুটিতে গেছে। সব মিলিয়ে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৯০ শতাংশ কারখানা ছুটি হয়েছে। কাল শুক্রবার অবশিষ্ট কারখানায় ছুটি দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এএম.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *