আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের পার্থক্য কমানো, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর করপোরেট করহার কমানো, লভ্যাংশের ওপর কর প্রত্যাহার, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাটহার কমানো এবং অপ্রদর্শিত আয় শুধুমাত্র শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
গতকাল রবিবার আগারগাঁওয়ে প্রাক-বাজেট আলোচনাসভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে সংগঠনটি। এ সময় বিএমবিএর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিএমবিএ জানিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে শেয়ারবাজার বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শেয়ারবাজারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও রাজস্ব বৃদ্ধি হয়। তাই শেয়ারবাজারের গতিশীলতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বিএমবিএ জানিয়েছে, বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের পার্থক্য মাত্র ৭.৫০ শতাংশ। তবে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিকম, টোব্যাকো ইত্যাদি খাত ব্যতীত। অর্থাৎ তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য কর রেয়াত ৭.৫ শতাংশ আছে। ফলে এ সুবিধা উদ্যোক্তাদের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য উৎসাহিত করে না। তাই তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের পার্থক্য ১৫ শতাংশ করার জন্য সুপারিশ করছি।
বর্তমানে মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ৩৭.৫০ শতাংশ, ব্রোকারের করহার ২৭.৫০ শতাংশ এবং সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানির করহার ১৫ শতাংশ। তাই মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর করপোরেট করহার ২৫ শতাংশ করার সুপারিশ করেছি। শেয়ারবাজারের গতিশীলতা আনয়নে লভ্যাংশের ওপর কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাটহার একই অর্থাৎ ১৫ শতাংশ। তাই তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাটহার হ্রাস করে ১০ শতাংশ করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম////