খসড়া জাতীয় শিল্প নীতি ২০২১-এর জন্য ২৫টি সুপারিশ পেশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

খসড়া জাতীয় শিল্প নীতি ২০২১-এ অন্তভূক্তির লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিবেচনার জন্য ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর পক্ষ হতে ২৫টি সুপারিশমালা পেশ করা হয়েছে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান গত ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে শিল্প সচিব কে এম আলী আজম-এর নিকট ডিসিসিআই’র সুপারিশমালা হস্তান্তর করেন।

ডিসিসিআই বিদ্যমান নীতিমালায় ‘এসএমই’ খাতের সংজ্ঞা সংশোধনের আহ্বান জানাচ্ছে এবং ‘মধ্যম’ ক্যাটাগরীকে কুটির, অতিক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র হতে পৃথক করার আহ্বান জানাচ্ছে পাশাপাশি ‘মধ্যম’ কে বৃহৎ শিল্পের সাথে সংযুক্ত করার প্রস্তাব করছে। ডিসিসিআই মনে করে, এর ফলে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র খাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক ও নীতি সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি আরো সহজতর হবে।

এছাড়াও এসএমই খাতের ক্লাস্টারের উন্নয়ন, পণ্যের উৎপাদান বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল এসএমই ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ গঠনের সুপারিশ করে।

আমরা অবগতি আছি যে, স্বল্পন্নোত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণের পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ শুল্ক ও কোটা মুক্ত সুবিধা হারাবে, যা কিনা আমাদের রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এ অবস্থা মোকাবেলায় ঢাকা চেম্বার মনে করে, রপ্তানির সম্ভাবনাময় দেশসমূহের সাথে বাংলাদেশের ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ)’ অথবা ‘অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ)’ স্বাক্ষরের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে, এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে প্রায় ৩.৯ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য চাহিদা মাফিক আমাদের মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি পুনঃদক্ষ করে তোলতে হবে।

দেশে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিদ্যমান শুল্ক কাঠামোতে ভারসাম্য আনা খুবই জরুরী।

পণ্যের বহুমুখীকরণ ও গুনগতমান সম্মত পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে ঢাকা চেম্বার মনে ‘টেকনোলজি এ্যাডাপশন ও ডিসিমিনেশন সেন্টার (Technology Adoption and dissemination) স্থাপনের সুপারিশ করছে।

ই-কমার্স খাতের সার্বিক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এর সাথে সংশ্লিষ্ট লজেস্টিক খাতের বিকাশে একটি সমন্বিত দিক-নির্দেশনা প্রণয়নেরও প্রস্তাব করছে।

ঢাকা চেম্বার মনে করে, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এস্ইজেড) আমদানি বিকল্প এসএমই শিল্প স্থাপনের প্লট বরাদ্দে বিশেষ বিবেচনা এবং আর্থিক প্রণোদনা সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা এসএমই উদ্যোক্তদের আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতকল্পে চেম্বার ‘এসএমই ব্যাংক’ স্থাপনেরও প্রস্তাব করেছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে একটি ‘ক্রাইসিস মিটিগেশন ফান্ড’ তৈরি সুপারিশ করেছে।

এছাড়াও প্রস্তাবিত শিল্পনীতিটি যেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বেপজা, বিডা, বেজা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা সমূহের সাথে সমন্বয় থাকার বিষয়ে আরো বেশি মাত্রায় গুরুত্ব প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছে ডিসিসিআই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *