গেইনার ট্যাক্স জটিলতা কাটাতে উদ্যোগী রাজস্ব বোর্ড

nrbনিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মূলধনী মুনাফা বা গেইন ট্যাক্স সংগ্রহ সংক্রান্ত জটিলতা অবসানের উদ্যোগ নিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। করনীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে বৈঠকে বসছে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

‌আগামী ২৬ এপ্রিল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে এনবিআর চেয়ারম্যান দেশের বাইরে থাকায় ওইদিন বৈঠকটি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। সে ক্ষেত্রে ২৮ বা ২৯ এপ্রিল সেটি হতে পারে বলে জানা গেছে।

মূলধনী মুনাফা ইস্যুতে বৈঠকটি আহ্বান করা হলেও ওই বৈঠকে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরবে স্টক এক্সচেঞ্জ।

উল্লেখ, শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ থেকে অর্জিত মুনাফায় ১০ শতাংশ কর দিতে হয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের। অংশীদারি প্রতিষ্ঠান, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের মূলধনী মুনাফা এ করের আওতাভুক্ত। এর কারিগরি সীমাবদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনায় আসেনি এনবিআরের।

চলতি অর্থবছরে এ কর উৎস পর্যায়ে কেটে রাখতে ট্রেকহোল্ডার তথা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারধারীদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করে এনবিআর। বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে এ দায়িত্ব ট্রেকহোল্ডারদের দেওয়া হয়।

বাজেট ঘোষণার পর থেকেই স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ নির্দেশনা বাস্তবসম্মত নয়। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে ট্রেকহোল্ডারদের পক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে উৎসে কর কর্তন প্রায় অসম্ভব।

সম্প্রতি এ বিষয়টি জানিয়ে এনবিআরকে আবারও চিঠি দেয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। তার পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছে। বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রেকহোল্ডার এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।

স্টক এক্সচেঞ্জ বলছে, নানা কারণে উৎস কর কর্তন সম্ভব নয়। প্রথমত প্রায় প্রত্যেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর একাধিক বিও হিসাব থাকে, যা ভিন্ন ভিন্ন ডিপি তথা ব্রেকারহাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকে সংরক্ষিত। একটি হিসাবে মুনাফা হলেও, অন্যটিতে লোকসান হয়ে থাকতে পারে। এমন অবস্থায় লাভ-ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য ছাড়া কর কেটে রাখা অযৌক্তিক ও অন্যয্য।

অন্যদিকে তাদের পর্যাপ্ত জনবলও নেই। চাইলেও বিভিন্ন ট্রেকহোল্ডারের কাছ থেকে বিনিয়োগকারীদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা তাদের জন্য বেশ দুরূহ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড/এএআর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *