ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে অর্থ নিলেও প্রভাব পড়বে না

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি রাখা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা যা জিডিপির ৬.২ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে সরকার ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেবে। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা।

তবে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ৭৬ হাজার কোটি টাকা নেয়া হলেও এর প্রভাব ব্যাংক খাতে পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি। গত এক বছরের ব্যবধানে অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ৯২ দশমিক ৪২ শতাংশ। বিশাল এই তারল্যের একটি বড় অংশ বিলবন্ডে বিনিয়োগ হলেও এখনও ৪০ হাজার কোটি টাকার তারল্য রয়েছে।’

শুক্রবার (৪ জুন) বাজেটোত্তর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান প্রমুখ।

এর আগে বৃহস্পতিবার তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ঘাটতি মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক ব্যবস্থার পরিবর্তে যথাসম্ভব কম সুদে বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়নের প্রচেষ্টা নেয়ার অনুরোধ জানাই।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি। বিশাল এই তারল্যের একটি বড় অংশ বিলবন্ডে বিনিয়োগ হলেও এখনও অনেক টাকা ব্যাংকগুলোতে অলস পড়ে আছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে আমানত বেড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ২০২ কোটি টাকা।

আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে আমানত বেড়েছিল ৭৩ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে আমানত বৃদ্ধি পেয়েছিল ৪০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। করোনার মধ্যেই আমানত বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *