চলতি বছর আইপিও অনুমোদন সবচেয়ে বেশি

ipoনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে চাহিদা ও জোগানের সমন্বয় করতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দিয়ে থাকে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১৭টি কোম্পানিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। যা যে কোনো বছরের চেয়ে বেশি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত মূল্যে আইপিও আসায় কোম্পানিগুলোর অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ তুলনামূলক কম।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে ১৭টি কোম্পানি আইপিওর অনুমোদন পেয়েছে। বছর শেষ হতে এখনো এক মাস বাকি। এ সময়ে আরো দুটি আইপিও অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। আগের বছর শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে মাত্র ১০টি কোম্পানিকে আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। আর ২০১২ সালে ১৪টি কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের সুযোগ পেয়েছিল। বাজার ধসের পর ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র সাত।

নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসইসি চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে যেসব কোম্পানির আইপিওর অনুমোদন দিয়েছে, এর মধ্যে আটটি এসেছে অভিহিত দরে শেয়ার ছেড়ে। আর নয়টি কোম্পানি এসেছে প্রিমিয়ামে। তবে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কিছুটা হ্রাসকৃত মূল্যে প্রিমিয়ামে আসা কোম্পানিগুলোর আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কমিশনের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কোম্পানিগুলো যে প্রিমিয়াম চেয়েছে, কমিশন সবকিছু বিচার বিবেচনায় তা অনুমোদন করেছে। বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাবও পড়েছে।

হ্রাসকৃত মূল্য ছাড়াও নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে মার্জিন ঋণসুবিধা দেয়ায় বর্তমানে আইপিও বাজারে চাঙ্গাভাব লক্ষ করা গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোম্পানির অর্থ চাহিদার পরিমাণের চেয়ে আইপিওতে প্রায় ৫০ গুণ বেশি আবেদন জমার রেকর্ড রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এলকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *