দাম বেড়েছে চালের, কমেছে মুরগি-সবজির

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে ১৪ দিনের ‘বিধি-নিষেধ’ বা ‘কঠোর লকডাউন’। নবম দিনের লকডাউনে প্রভাব পড়েছে কাঁচা-বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে চলের। কিন্তু দাম কমেছে মুরগি ও সবজির।

অপরদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে অন্য পণ্যের দাম। চাল বিক্রেতারা বলছেন, বন্যা, বৃষ্টি ও লকডাউনের কারণে চালের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়াও বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ক্রেতা কম আসায় সবজির ও মুরগির দাম কমেছে।

শুক্রবার (০৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজির কেজিতে দাম কমেছে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। এসব বাজারে প্রতি কেজি বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, করল্লা ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। চাল কুমড়া কেজি ৪০-৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমরার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ভেন্ডি ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, কচুর গাট ৫০ টাকা,

এসব বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি। পিয়াজে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ৪০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসার দাম ৪০ টাকা। কাকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারে সবজি বিক্রেতা আলামিন বাংলানিউজকে বলেন, লকডাউনের আগে সবজির দাম বেড়েছিল। লকডাউনে বাইরে থেকে বাজারে অন্য পাইকার ঢুকতে না পারায় সবজির দাম কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে নোয়াখালী ও চাঁদপুরের পাইকাররা বাজারে সবচেয়ে বেশি সবজি সাপ্লাই করে থাকে। বাজারে ক্রেতা কম আসায় এখনও সবজির দাম কম।

এছাড়াও শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০-১৩০ টাকা, আদার দাম বেড়ে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চিনির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এছাড়াও প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি চালে দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা। দাম বাড়ে বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, পোলাওয়ের চাল আগের দামেই ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

১১ নম্বর বাজারে চাল বিক্রেতা আমিন হোসেন বলেন, বন্যা বৃষ্টি ও করোনার কারণে বেড়েছে চালের দাম। বাজারে চালের দাম বাড়ার মূলত এই তিনটি কারণ। চালের দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম। আগামীতে চালের দাম আরো বাড়তে পারে।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম বেড়ে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন ১৫০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও ২০ টাকা দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। লেয়ার মুরগি কেজি ২৫০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, লকডাউন এর কারণে বাজারে ক্রেতা কম আশায় মুরগির দাম কমেছে। সামনে কোরবানির ঈদের বাজার। ঈদবাজারে মুরগির দাম আবারও বাড়তে পারে।

এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *