দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ১২০০ মিটার

padma-bridge-spanস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়ার পথে। জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর “৬ই” স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসানোর মাধ্যমে জাজিরা ও মাওয়া প্রান্ত মিলিয়ে দৃশ্যমান হলো ১২০০ মিটার।

জাজিরা প্রান্তে ৬ষ্ঠ স্প্যান বসানোর ২৮ দিনের মাথায় বসলো এই সপ্তম স্প্যানটি। বাকি স্প্যান বসানোর সময়ের হিসেবে খুব কম সময়ে স্প্যানটি বসাতে পারায় আনন্দিত দেশি বিদেশি প্রকৌশলীরা। এভাবে প্রত্যেক মাসে একটি করে স্প্যান বসানোর ধারাবাহিকতা থাকলে পদ্মাসেতু খুব শিগগিরই দৃশ্যমান হবে।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে সেতুর ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর জাজিরা প্রান্তে বসে সপ্তম স্প্যানটি। এর আগে সকাল ৮টা থেকে পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে মাওয়া প্রান্তে একটি অস্থায়ী স্প্যানসহ পুরো সেতুতে এখন ৮টি স্প্যান। ভোর থেকে পদ্মায় কুয়াশার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তাই প্রকৌশলীদের কাজে ধীরগতি ও বাড়তি ভাবনা যোগ হয়েছিল।

জাজিরায় ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১ ও ৪২ পিলারে সাতটি স্প্যান ও মাওয়া ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের উপর একটি অস্থায়ী স্প্যান।

এর আগে মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে রওনা দিয়ে স্প্যানটি বিকেলে জাজিরা প্রান্তে কাঙ্ক্ষিত পিলার এলাকায় এসে পৌঁছে। ধূসর রংয়ের স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার আর ওজন তিন হাজার ১৪০ টন। তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ক্রেন ‘তিয়ান ই’ স্প্যানটি বহন করে আনে।

স্প্যান বহনকারী ক্রেনটিকে পিলারের ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের পজিশন অনুযায়ী রাখা হয়। এরপর লিফটিং ক্রেনের সাহায্যে রাখা হয় পিলারের ওপর। স্প্যানটি পুরোপুরি স্থায়ীভাবে বসে যেতে সময় লাগবে আরো কয়েকদিন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *