দেশের উৎপাদন সক্ষমতা ৯০ ভাগে উন্নীত হওয়া প্রয়োজন: বাণিজ্যমন্ত্রী

tofailবিশেষ প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা ৭০ ভাগ থেকে ৯০ ভাগে উন্নীত হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাণিজ্যে আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে। এখন রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে।’

সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য উন্নয়নশীলতা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান উৎপাদন সক্ষমতা ৭০ ভাগ, এটা ৯০ ভাগ হওয়া প্রয়োজন। এখন অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দক্ষজনশক্তি তৈরিতে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ও যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি একসময় কৃষিনির্ভর ছিল। ১৯৭২-৭৩ সালে জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল প্রায় ৭৮ ভাগ, এখন তা নেমে এসেছে ১৫ ভাগে। ৭৩ সালে শিল্পখাতে অবদান ছিল খুবই সামান্য। এখন শিল্পখাতের অবদান ৩২ ভাগ। একসময় আমাদের জাতীয় বাজেট বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভর ছিল ৯০ ভাগ। এখন আমরা নিজেদের অর্থেই বাজেট করি।’

প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশ পেপারলেস ট্রেডের সক্ষমতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনকে (এনপিও) যথাযথ দায়িত্ব পালন করে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল মধ্যমআয়ের দেশ গড়ে তুলতে সহযোগিতা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার ও রফতানিকারকদের বিশেষ উদ্যোগে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো গড়ে উঠছে কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরি হিসেবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধানের পর সর্বোচ্চ পয়েন্টের ভিত্তিতে বিশ্বের ১০টি তৈরি পোশাক ফ্যাক্টরিকে এনার্জি অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। এবার ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল যে ১০টি তৈরি পোশাক ফ্যাক্টরিকে এলইইডি সার্টিফিকেট দিয়েছে, এরমধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে ৭টি।’

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসে প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। মানবিক কারণে সাময়িকভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীর প্রশংসা পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীকে বলা হচ্ছে, মাদার অব হিউম্যানিটি। কিন্তু বিএনপি নেত্রী বিদেশে অবস্থান করছেন, রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াননি।’

সেমিনারটির আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অরগানাইজেশন (এনপিও)। শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *