নিত্যপণ্যের বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রাজধানীর ঢাকার নিত্যপণ্যের বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের শাক-সবজি। চাল বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামে। ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, চিনি, আটা ও ডালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে ডিমের দাম। ইলিশের সরবরাহ বাড়লে ও দাম কমেনি দেশী মাছের। গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফার্মগেট কাঁচা বাজার, খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন মার্কেট এবং মালিবাগ রেলগেট বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। চলতি সপ্তায় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শাক-সবজির দাম। শীতের সবজি যা আসছে তা নগরবাসীকে উচ্চ মূল্য দিয়ে কিনতে হচ্ছে। গড়ে ৭০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। নগরীর বিভিন্ন বাজারে জাত ও মানভেদে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩০০ টাকায়। এতে করে স্বল্প আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে। খুচরা বাজার থেকে ৫০-১০০ গ্রাম করে মরিচ কিনে নিচ্ছেন নি¤œ আয়ের মানুষ। অন্যদিকে, সবজির দামও চড়া। সিম, টমেটো, শসা, গাজরের মতো প্রতিকেজি সবজি ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছোট আকৃতির ফুলকপি, বাধাকপি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। তরকারিতে বেশি ব্যবহার হয় প্রতিকেজি আলু ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। লাউ, ধুন্দল, বেগুন, পটল ও ঢেঁড়সের মতো সবজি ৭০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে ফার্মগেট কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা হানিফ মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে সবজির দাম চড়া। আর এ কারণে খুচরায় দাম বেড়েছে। শীতের সবজি পুরোদমে না আসলে দাম সহসায় কমবে না। ওই বাজার থেকে সবজি কিনছিলেন ইন্দিরা রোডের বাসিন্দা ফয়সাল আহমেদ। তিনি জানান, বাজারে সব ধরনের সবজির দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সাধারণ মানুষের পাতে সবজি উঠবে না।

এদিকে, সবজির পাশাপাশি আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছ সব ধরনের চাল। স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত প্রতিকেজি মোটা চাল ৪৮-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া পাইজাম ও লতা চাল ৫০-৫৫ এবং নাজিরশাইল মিনিকেট নামের চিকন চাল ৫৬-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরেই চালের বাজার অস্থির। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিলাররা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনশৃখঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মিলমালিকদের অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে সরকার। খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশনের চাল বিক্রেতা নওয়াজেশ আলী জানান, নতুন করে দাম বাড়লে আগের বাড়তি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল। আর এ কারণে বাজারে চালের দাম এখনো বেশি।

এছাড়া বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। তবে দেশী হাইব্রিড ও লোকাল জাতের সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ ১০০ এবং হাইব্রিড জাতেরটি প্রতিকেজি ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। তুরস্ক, মিসর ও নেদারল্যান্ডের পেঁয়াজ দ্রুত দেশে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে। শীঘ্রই বাজারে আসবে আমদানিকৃত পেঁয়াজ। বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে ১১৫-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশীজাতের ও পাকিস্তানিখ্যাত মুরগির দাম বেড়েছে। পাকিস্তানি লাল মুরগি প্রতিকেজি ২৫০ এবং এবং দেশী মুরগি প্রতিপিস ৩৫০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। বিশ্ব ডিম দিবসে বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন ফার্মেও ডিম ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে ইলিশ মাছের সরবরাহ বেড়েছে। আকার ও সাইজভেদে প্রতিকেজি ইলিশ ৬০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া দেশী মাছের সরবরাহ ভাল থাকলেও দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি চিংড়ি ৬০০-৮০০ এবং রুই মাছ ৩৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *