পর্যটকদের ভিসা সহজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

করোনার পর পর্যটন আকর্ষণে বিভিন্ন দেশ অন-অ্যারাইলভাল ভিসা চালুসহ ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পদক্ষেপ আছে কিনা- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি কীভাবে ভিসা পদ্ধতি সহজ করা যায়? তারা (বিদেশি পর্যটক) যাতে আসতে পারে, আমাদের দেশের নান্দনিক সৌন্দর্য যাতে উপভোগ করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার বিমানবন্দর উদ্বোধনকালে বক্তব্যে বলেছেন, বিদেশিদের জন্য একটি এক্সক্লুসিভ জোন করা। সেই লক্ষ্যেও আমরা অগ্রসর হচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমরাও অন-অ্যারাইভাল ভিসা সহজীকরণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। সুরক্ষা সেবা বিভাগে এই বিষয়ে লিখেছি। অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু দেশিয় আইন-কানুন রয়েছে। সেই অনুযায়ী বিবেচনা করা হচ্ছে। যাতে সহজ করা যায়, বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য যা যা করা দরকার সেই বিষয়ে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, লিখেছি। আশা করছি ভিসা সহজীকরণ খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।’

করোনার আগে পর্যটন নিয়ে মাস্টার প্ল্যানের কাজ চলছিল, সেটির কী অবস্থা। জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড শুরু হওয়ার আগে আমরা একটা আন্তর্জাতিক সংস্থাকে কার্যাদেশ দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা- পর্যটনকে নিয়ে একটা প্ল্যানড ওয়েতে অগ্রসর হওয়া। মাস্টার প্ল্যান শেষ হওয়ার পরই আমরা আমাদের কাজে হাত দেব। কিন্তু করোনার কারণে তাদের কাজ বন্ধ ছিল, তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা শিগগিরই আসবেন এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ হবে বলে আশা করি।’

করোনায় পর্যটন খাতে ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণ পেতে জটিলতা হচ্ছে- এ বিষয়ে বিমান ও পর্যটন সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই শিল্পের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। সেই অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন খাত, উপখাতে ভাগ করেছি। আমরা তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়ে ছিলাম ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠাতে বলেছিল। পরবর্তী সময়ে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পজিটিভলি এটা দ্রুত দেয়ার জন্য চেষ্টা করছে। আমরাও এটা নিয়ে পারসিউ করছি। আশা করছি খুব সহসাই এটা সমন্বয় করা হবে এবং প্রদান করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘যারা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা যাতে ঋণটি সহজে পেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *