পেঁয়াজ রসুনের দাম কমলেও বন্যার জন্য বেড়েছে সবজির দাম

Piazস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রাজধানীর নিত্যপণ্যের আরেক দফা কমলো পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ব্রয়লার মুরগি ও ভোজ্যতেলের দাম। তবে বন্যায় চড়েছে সবজির বাজার। চাল, ডাল, আটা, চিনি ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মাছ-মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ বেড়েছে। হাড়িভাঙ্গা ও সুরমাইয়া ফজলি আমের মৌ মৌ গন্ধে ভাসছে ফলের বাজার। বেশির ভাগ আম ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা নতুন আম পেয়ে খুশি। অনেকে আম কিনছেন আনন্দ নিয়ে।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, মুগদা বড় বাজার এবং মালিবাগ রেলগেট বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবি বেশির ভাগ মুদিপণ্যের দাম কমার তথ্য দিয়েছে।

এদিকে, সারা দেশের বিশটির অধিক জেলা বন্যা কবলিত হওয়ায় সবজি উৎপাদন কমে গেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের নিত্যপণ্যের বাজারে। কাঁচা মরিচসহ বেড়ে গেছে সব ধরনের সবজির দাম। গত এক মাসেরও বেশির সময় ধরে সবজি বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে আসার আগে দাম কমার কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিকেজি সবজি গড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১৩০-১৫০ টাকায়।

এছাড়া দাম কমে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ ৩০-৪০, আমদানিকৃত ভারতীয়টি ২৫-৩০, রসুন দেশী ৭৫-১০০, রসুন আমদানি ৭৫-৯০, আদা দেশী ১০০-১২০, আদা আমদানি ১২০-১৫০ মুরগি ব্রয়লার ১৩০-১৩৫, সয়াবিন লুজ ৮২-৮৫ প্রতিলিটার, চিনি ৫৫-৬৫ মশুর ডাল ৭০-১০০ এবং ডিম ফার্মের প্রতিহালি ৩৩-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি মোটা চাল ৪০-৪৫, চাল মাঝারি পাইজাম ও লতা ৪৪-৫২ এবং সরু চাল নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৫২-৬২ টাকা, আটা প্রতিকেজি২৬-৩০ আটা প্যাকেট প্রতিকেজি ৩০-৩৫ এবং ময়দা প্রতিকেজি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।

এদিকে, বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবি ঢাকাসহ সারাদেশে ট্রাকসেলে বিক্রি কার্যক্রম বাড়িয়েছে। এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। স্বল্প আয়ের মানুষ কম দামে টিসিবির পণ্যসামগ্রী কিনতে পারছেন। মুদিপণ্যের ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানি সামনে রেখে এখন পর্যন্ত মসলাপাতিসহ কোন পণ্যের দাম বাড়েনি। পাইকারি বাজারে যাতে দাম ঠিক থাকে সেলক্ষ্যে সরকারী তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন। তাদের মধ্যে পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে খুচরায় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়।

এদিকে, বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ বেড়েছে। সরবরাহ বেড়েছে দেশী জাতীয় কার্প মাছের। কিন্তু সেই তুলনায় দাম কমছে না। তবে মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮৫০ টাকা কেজি দরে। তবে এককেজি সাইজের ইলিশ কিনতে ৯০০-১১০০ টাকা এবং এককেজি ১০০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ কিনতে ভোক্তাকে ১২শ থেকে ১৩শ’ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *