শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) গঠনের জন্য আইনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ইটিএফকে কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম হিসেবে চালু করার উদ্দেশে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) রুলস, ২০১৬ এর খসড়া কিছু সংশোধনসহ বিএসইসিতে অনুমোদন দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সূত্র মতে, কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিমের আওতায় এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বেমেয়াদী হিসেবে গঠিত হলেও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে। ফান্ডে ন্যূনতম আকার হবে ৫০ কোটি টাকা তবে অথরাইজড পার্টিসিপেন্টসের মাধ্যমে ক্রিয়েশন ও রিডেম্পশন দ্বারা ফান্ডের আকার পরিবর্তন সম্ভব হবে। যেহেতু ফান্ডটি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে সেহেতু ফান্ডের এনএভি ও বাজারের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হলে অথরাইজড পার্টিসিপেন্টগণ আর্বিট্রেজ ফাঙ্কশন পালন করবে।
এছাড়া এ ফান্ডের ক্ষেত্রে স্টক ব্রোকার/ স্টক ডিলারগণ যারা অথরাইজড পার্টিসিপেন্টস হিসেবে কাজ করবেন তারা মার্কেট মেকারের ভূমিকাও পালন করবেন। এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড মূলত ইনডেক্স বেসড ফান্ড যা জেনারেল ইনডেক্স অথবা ইসলামিক ইনডেক্স বেসড হতে পারে। ইলিজিবল ইনভেস্টরদের নিকট প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমেই মূলত ফান্ড গঠিত হবে। তবে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ফান্ড গঠিত না হলে কমিশনের অনুমোদনক্রমে পাবলিক অফারের মাধ্যমেও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
দেশীয় শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং মৌলভিত্তিক কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) গঠিত হচ্ছে। ইটিএফ এক প্রকার বেমেয়াদি (ওপেন এন্ডেড) সামষ্টিক বিনিয়োগ তহবিল। বেমেয়াদি হলেও এ ফান্ডের ইউনিট সেকেন্ডারি বাজারে লেনদেন করা যায়। মিউচুয়াল ফান্ড থেকে এর কিছু পৃথক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডের তহবিল দিয়ে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত যেকোন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা যায়।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম