বাংলাদেশ সাবমেরিনের এমডি নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

bsclনিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেনের পুনর্নিয়োগে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের ল্যান্ডিং স্টেশনের প্রকল্প পরিচালক ও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) পারভেজ মনন আশরাফের নিয়োগসহ আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে বলে কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ও বিশ্বস্থ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

কমিটি মোট ছয়টি অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করে। এগুলো হলো ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম), প্রকল্প পরিচালক (পিডি) পদে নিয়োগ, বিদেশ ভ্রমণের জন্য সরকারি আদেশ (জিও) লঙ্ঘন, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং ব্যান্ডউইটথ কেনাবেচায় অনিয়ম। তদন্ত কমিটি গত ১৬ এপ্রিল প্রতিবেদন জমা দিলেও তা এখনো প্রকাশ করেনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

বিএসসিসিএলের অনিয়ম তদন্তে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের (ডিওটি) মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে আহ্বায়ক করে গত জানুয়ারিতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে আরও ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারী, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক কর্নেল মোস্তফা কামাল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম সচিব ইসমত আরা জাহান এবং ডিওটির পরিচালক রফিকুল মতিন।

এমডি হিসেবে মনোয়ার হোসেনের পুনর্নিয়োগ বিষয়ে অভিযোগ ছিল, তিনি বিএসসিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই নিজের স্বাক্ষরে একটি আদেশ জারি করে গত বছরের ১৫ নভেম্বর চতুর্থ দফায় এমডির দায়িত্ব নেন। এরপর ১৭ নভেম্বর পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাঁর এই নিয়োগ অনুমোদন করা হয়।

এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের আগেই এমডি হিসেবে মনোয়ার হোসেনের যোগদানের প্রক্রিয়াটি যথাযথ হয়নি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নির্মিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের ল্যান্ডিং স্টেশনের দেয়াল ধসের ঘটনায় গঠিত অন্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বিএসসিসিএলের এমডিসহ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। দেয়াল ধসের ওই ঘটনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম সচিব ওসমান গণি তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদন জমা দেয়। সেটি আর প্রকাশ করা হয়নি। অনিয়মের তথ্য গোপন রেখেই চতুর্থ দফায় এমডি পদে মনোয়ার হোসেনের পুনর্নিয়োগ হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *