বাজার তদারকিতে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, নীতিমালাগত সহায়তা পাশাপাশি পণ্য সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক রাখতে হবে।

প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার আওতার মধ্যে যাতে থাকে সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য যা যা করণীয়, সেটা আমরা করবো। করোনা মহামারি থেকে ঘুরে না দাঁড়াতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে যে মন্দা দেখা দিয়েছে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান। এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

এম এ মান্নান বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের সবাইকে সঞ্চয়ের মনোভাব তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, খাদ্য শস্য, অর্থ, বিদ্যুৎ ও পানি সবক্ষেত্রেই সঞ্চয় করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নও বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেসঙ্গে অপচয়রোধ করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া খাদ্যের অভাব পূরণে উৎপাদন বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

পকিল্পনামন্ত্রী আরও জানান, চলতি অর্থবছরের তিন মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ সময় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ব্যয় করেছে ২৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছর একই সময়ে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। ওই সময় খরচ হয়েছিল ১৯ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের সার্বিক অর্থনীতি নিয়ে একনেকে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আমরা শংকার মধ্যে আছি। কিন্তু এখনও আমাদের অর্থনৈতিক সূচকগুলো ভালো অবস্থানে আছে। গত তিন মাসে দেশে রেমিটেন্স গত অর্থবছরের তিন মাসের তুলানায় বেশি এসেছে। এছাড়া রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে ছিল ১১ শতাংশ। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী আমদানি কমে হয়েছে ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরেও আমদানি বেড়েছিল ৪৫ শতাংশ সরকারি বিদেশি বিনিয়োগ গত ৩ মাসে বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ, গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারি পরিকল্পনা মতো মুদ্রা সরবরাহ কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১১ দশমিক ৬ শতাশ। বেসরকারি ঋণ প্রবাহ বেড়ে হয়েছে ১৪ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের ৩ মাসে ছিল ৮ শতাংশ। পরিকল্পনা মতো গত ৩ মাসে সরকারি ঋণ প্রবাহ কমে হয়েছে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর একই সময়ে ছিল ৫ হাজার ১০৮ কোটি টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব মামুন আল রশীদ, আইএমইডি সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *