স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীরা ব্রোকার হাউজে না গিয়ে অদূর ভবিষ্যতে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে সক্ষম হবেন। দেশের শেয়ারবাজারকে ডিজিটাল করার পদক্ষেপের অংশ হিসাবে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) একটি মডিউল তৈরির কাজ শুরু করেছে। যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা অনলাইনে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
এই মডিউলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। বিও অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসসি)। গত বৃহস্পতিবার কমিশন কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত এটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সিডিবিএলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের ক্রেডিট কার্ড বা ইএফটিএন সিস্টেমের মাধ্যমে চার্জ প্রদান করে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।
মডিউলটিতে একটি ফটোগ্রাফ, এনআইডি বা পাসপোর্ট নম্বর, ব্যাংকের চেক বইয়ের কপি ব্যবহার করে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিও অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া ডিজিটাইল হলে বিনিয়োগকারীদের ঝামেলা হ্রাস পাবেবে।
এ প্রসঙ্গে সিডিবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভ্রা কান্তি চৌধুরী বলেন, বিনিয়োগকারীরা তাদের পছন্দের ব্রোকারেজ হাইজগুলিতে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
তিনি বলেন, এই মডেলটিতে ব্রোকারেজ হাউজ বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। মডিউলটি ব্যবহার করে খোলার বিও অ্যাকাউন্ট নির্ধারিত চার্জ গ্রহণের পরে তা সক্রিয় হবে।
সিডিবিএল এ কাজটি খুব কম সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করবে।
বিও হিসাব খোলার পরে বিওর তথ্য সিডিবিএল, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং শেয়ারবাজারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তা এ বিষয় বলেন, বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে ৪০০থেকে ৫০০ টাকা চার্জ করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে, বিও অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ১০০০ থেকে ২০০০ টাকাও নেওয়া হয়।
২০১৬ সালে বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্তে বিও অ্যাকাউন্টের জন্য নবায়ন ফি ৫০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা করেছে।
৪৫০ টাকা এর মধ্যে ২০০ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা হয়। আর ১০০ টাকা ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীদের (ডিপি), সিডিবিএলকে ১০০ টাকা এবং বাকী ৫০ টাকা বিএসইসির নিকট জমা হয়।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা সম্প্রতি দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল ট্রেডিং আউটলেট খোলার অনুমোদন দিয়েছে।
দেশ এবং বিদেশ থেকে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আইনটি কার্যকর করা হয়েছে।
বিএসইসি এক কর্মকর্তা জানান, ইতিমধ্যে একটি ব্রোকারেজ ফার্ম বিদেশে ট্রেডিং আউটলেট খোলার আগ্রহ দেখিয়েছে। সিডিবিএলের তথ্য মতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সক্রিয় বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৬ লাখ ১০ হাজারের উপরে দাঁড়িয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/