বিনিয়োগকারীদের ভূল ভাঙ্গালো আইএফআইসি

ific-smbdস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের ভুল ভাঙাল তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংক। আর এ ভুল ভাঙানোর পর কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমে গেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের ভুল ধারণা ভাঙানোটাই যেন কাল হলো ব্যাংকটির শেয়ারের জন্য।

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোকে আইন অনুযায়ী ন্যূনতম শেয়ার ধারণের সময় বেঁধে দিয়েছে। আইন অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা–পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ওই কোম্পানির ন্যূনতম ৩০ শতাংশ এবং পরিচালকদের এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক। ২০১১ সালে করা এ আইনটি শেয়ারবাজারে ২ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ নামে পরিচিত।

এদিকে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার ধারণসংক্রান্ত সর্বশেষ যে তথ্য রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, জুলাই মাস শেষে ব্যাংকটির উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার। সরকারের হাতে রয়েছে ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩৬ শতাংশ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১ শতাংশের কম শেয়ার।

ব্যাংকটির উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে ৫ শতাংশেরও কম শেয়ারের তথ্যটি জেনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধারণা তৈরি হয় ন্যূনতম শেয়ার ধারণে বিএসইসির দেওয়া আলটিমেটাম অনুযায়ী ব্যাংকটির উদ্যোক্তাদের বিপুল শেয়ার কিনতে হবে।

এ আশায় অনেক বিনিয়োগকারী ব্যাংকটির শেয়ারের প্রতি আকৃষ্ট হন। এতে গত ৬ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ৯ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৪ টাকা ২০ পয়সা বা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়। এ অবস্থায় ২০ আগস্ট কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ভুল ভাঙাতে একটি ঘোষণা দেয়।

স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সে ঘোষণায় বলা হয়, ব্যাংকটির উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির ৩৭ শতাংশের বেশি শেয়ার রয়েছে। ব্যাংকটির উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারও। সরকারের হাতে এটির পৌনে ৩৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সরকারের মালিকানা অংশের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদেও সরকার মনোনীত তিনজন পরিচালক রয়েছেন। তাতে সব মিলিয়ে ৩৭ শতাংশের বেশি শেয়ার রয়েছে ব্যাংকের পরিচালকদের হাতে। এ তথ্য প্রকাশের পর হতাশ হন বিনিয়োগকারীরা। তাতে গত রোববার থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন কার্যদিবসে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম প্রায় ১০ শতাংশ বা ১ টাকা ২০ পয়সা কমে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *